চুয়াডাঙ্গার বোয়ালমারীতে রংমিস্ত্রির সহকারী সেজে কাজ করার সময় প্রতারণার ফাঁদ : সরলতার সুযোগে বিশ্বাঘাতকতা
মোমিনপুর প্রতিনিধি: এতিম বলে পরিচয় দিয়ে পানচাষির কাছে আশ্রয় নিয়ে নগদ ৪০ হাজার টাকা ও সোনার গয়নাগাটি নিয়ে চম্পট দিয়েছে এক প্রতারক। আনুমানিক ২০ বছর বয়সী যুবক রং মিস্ত্রির সহকারী হিসেবে কাজ করতে এসে নিজেকে এতিম বলে পরিচয় দিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের পানব্যবসায়ী সালামিনের বাড়িতে আশ্রয় নেয়। গতপরশু রাতে সে সুযোগ বুঝে নগদ টাকা ও সোনার গয়না নিয়ে চম্পট দেয়।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বোয়ালমারী গ্রামের বিশ্বাসপাড়ার মৃত আইরুদ্দিন বিশ্বাসের ছেলে পানব্যবসায়ী সালামিন বিশ্বাসের বাড়িতে ১৫ দিন আগে দু দিন ধরে রঙের কাজ করানো হয়। রং মিস্ত্রি হিসেবে চুয়াডাঙ্গা সাতগাড়ি গ্রামের ঝুমুর কাজ করে। ঝুমুরের সাথে কয়েকজন শ্রমিকও সহকারী হিসেবে কাজ করে। দু দিন ধরে রঙের কাজ চলাকালীন ২০ বছর বয়সের এক যুবক তার নাম আব্দুল্লাহ বলে জানিয়ে এতিম অসহায় বলে পানচাষির পরিবারের সদস্যদের হৃদয় কাড়ে। সে তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলে আমার বাবা-মা, ভাই-বোন কেউ নেই। আমি এতিম অসহায়। সাতগাড়ি গ্রামে আমার খালাবাড়ি। খালা-খালু আমার সাথে সবসময় খারাপ ব্যবহার করে। আব্দুল্লাহর কথা শুনে সালামিন ও তার স্ত্রী বিলকিস আক্তার সরল মনে মিস্ত্রীদের সাথে কাজ করতে বলে। দু দিন পর কাজ শেষ হলে রঙ মিস্ত্রিরা সবাই চলে গেলেও আব্দুল্লাহ সালামিনের বাড়িতে থেকে যায়। পানব্যবসায়ী সালামিন জানান, বাড়িতে রঙের কাজ করতে এসে আব্দুল্লাহ বলে আমি একজন এতিম আমার কেউ নেই। এজন্য তাকে আমরা বলি এখন থেকে তুমি আমাদের বাড়িতে বসবাস করবে। গত ১৫ দিন আগে দু দিন ধরে রঙ এর কাজ শেষ হলে গত ১২ দিন ধরে সে আমাদের বাড়িতে থাকতো। প্রতিদিন রাতে আমার দু ছেলের সাথে নিজের ছেলের মতো আব্দুল্লাহ এক বিছানায় ঘুমাতো। তিনি আরও জানান, গতপরশু শনিবার রাত ৯টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে প্রতিদিনের মতো পাশের ঘরে আমার দু ছেলে চয়ন (১৩) ও নয়নের (৭) সাথে আব্দুল্লাহ ঘুমাতে যায়। গতকাল রোববার খুব সকালে আমার বড় ছেলে সপ্তম শ্রেণির ছাত্র চয়ন প্রাইভেট পড়ার জন্য ঘুম থেকে ওঠে। চয়ন ঘুম থেকে উঠে দেখে আব্দুল্লাহ নেই। চয়ন ও নয়নের ঘরে ছিলো শোকেচ। শোকেচের এক পাশে চাবি থাকতো। প্রতারক আব্দুল্লাহ কৌশলে শোকেচের ড্রয়ারের তালা খুলে ড্রয়ারে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, সোনার এক জোড়া হাতের বালা, এক জোড়া কানের দুল, একটি গলার চেন নিয়ে পালিয়ে যায়।