স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা ও জীবননগরে যৌথবাহিনী ও পুলিশ পৃথক অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ১০ নেতা-কর্মীকে আটক করেছে। গত বুধবার এ অভিযানে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা থেকে জামায়াতের ৬ জন ও জীবননগরে ৪ জনকে আটক করা হয়।
দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদা থানা পুলিশ বিশেষ অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ৩ নেতাসহ ওয়ারেন্টভুক্ত মোট ৬ জনকে আটক করেছে। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আহসান হাবিবের নেতৃত্বে এসআই ইমদাদ হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত বুধবার রাতে উপজেলার বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে জামায়াতের ওই তিন নেতাসহ ৬ জনকে আটক করে। আটককৃতরা হলো উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ন জামায়াতের সেক্রেটারি জগন্নাথপুর গ্রামের মৃত জামাত আলীর ছেলে শামসুজ্জোহা লাল্টু ( ২৬), হাউলী ইউনিয়ন জামায়াতের প্রচার সম্পাদক কাদিপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন মণ্ডলের ছেলে সাদমনি (৩৫), পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের সাড়াবাড়িয়া গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে জামায়াত সমর্থক হাফিজুর রহমান (২৫), ইব্রহিমপুর গ্রামের মৃত জবেদ আলীর ছেলে কাওছার আলী (৩৮), জয়রামপুর গ্রামের মৃত মোতাহার আলীর ছেলে একেএম শফিকুর রহমান শফিক ও ফকিরপাড়ার মৃত. ইবাদ আলীর ছেলে রেজাউল হক। গতকাল বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে আটককৃতদের বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করে থানা পুলিশ। দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আহসান হাবিব জানান, আটক ওই ৩ জামায়াত নেতা দর্শনায় নিহত শিবিরকর্মী রফিকুল হত্যামামলার এজেহারনামীয় আসামি।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, গত বুধবার রাতে যৌথবাহিনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে অভিযান চালিয়ে জামায়াতে ইসলামীর ৪ নেতাকর্মীকে আটক করেছে। আটককৃতদের গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
যৌবাহিনীর অভিযানে আটকৃতরা হলো- উপজেলার দেহাটি গ্রামের ইদবারী শেখের ছেলে আফদার শেখ (৪৮), সানোয়ার খানের ছেলে শরীফ খান (৩২), মৃত আব্দুর রহিমের ছেলে আবুল কাশেম (৫০) ও নিশ্চিন্তপুর গ্রামের মৃত ইয়াছিন আলীর ছেলে আজগার আলী (৫০)। তাদেরকে গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গা সংশ্লিষ্ট আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।