স্টাফ রিপোর্টার: বহুল আলোচিত জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য থাকলেও অধিকতর শুনানির জন্য তারিখ ধার্য করা হয়েছে ২৭ ফেব্রুয়ারি। সংশ্লিষ্ট আদালতের বিচারক ও মামলার আসামি সাবেক প্রেসিডেন্ট জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ আদালতে উপস্থিত হলে প্রাথমিক শুনানি হয়। এরপরই বিচারক অধিকতর যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করেন। ওই আদালতের বিচারক হোসনে আরা আকতার ১০ ফেব্রুয়ারি রায়ের জন্য দিন ধার্য করেছিলেন। কিন্তু তার পরিবর্তে মামলাটির বিচারের দায়িত্ব পেয়েছেন দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা জজ হাসান মাহমুদ ফিরোজ। এ নিয়ে মামলায় ২২ বার বিচারক বদল হয়েছেন। অনেকে মনে করেন- রাজনৈতিক কারণে ১৯ বছর ধরে মামলাটি ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। মেজর জেনারেল মঞ্জুর হত্যা মামলায় সাবেক প্রেসিডেন্টসহ মোট পাঁচজনের বিচার চলছে। এর মধ্যে এরশাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো- ১৯৮১ সালের ৩০ মে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে হত্যার ঘটনা ভিন্ন খাতে নিতে তার (এরশাদের) নির্দেশে কতিপয় সামরিক কর্মকর্তা জেনারেল মঞ্জুরকে পুলিশ হেফাজত থেকে নিয়ে গুলি করে হত্যা করে। ১৯৮১ সালের ৩০ মে চট্টগ্রামে সেনা অভ্যুত্থানে জিয়াউর রহমান নিহত হন। তখন চট্টগ্রামে অবস্থিত সেনাবাহিনীর ২৪তম পদাতিক ডিভিশনের জেনারেল অফিসার কমান্ডিং (জিওসি) ছিলেন মোহাম্মদ আবুল মঞ্জুর। জিয়াউর রহমান নিহত হওয়ার পর আত্মগোপনে যাওয়ার পথে তাকে পুলিশ আটক করে। ২ জুন মেজর জেনারেল মঞ্জুরকে হাটহাজারী থানার পুলিশ হেফাজত থেকে চট্টগ্রাম সেনানিবাসে নিয়ে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার ১৪ বছর পর ১৯৯৫ সালে ২৮ ফেব্রুয়ারি মঞ্জুরের ভাই আইনজীবী আবুল মনসুর আহমেদ চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানায় মামলা করেন।