স্টাফ রিপোর্টার: আশুলিয়ার তাজরীন গার্মেন্টসের মালিক (এমডি) দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রী প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাহমুদা আক্তার মিতার জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এদিকে আসামিদের জামিন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর ঠিক একদিনের মাথায় আসামিদের জামিন নাকচ আবেদন পুনর্বিবেচনার জন্য আসামিপক্ষের আবেদন শুনানির জন্য ফের আজ দিন ধার্য করা হয়েছে। আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার একমাস আট দিনের মাথায় তারা আদালতে আত্মসমর্পণ করলেন। গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর এ মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে উল্লেখিতরাসহ পলাতক ছয়জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন আদালত।
গতকাল রোববার অভিযোগপত্রভুক্ত এ দু আসামি ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। শুনানি শেষে ঢাকার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. তাজুল ইসলাম তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এছাড়া কারাগারে থাকা আসামি সিকিউরিটি ইনচার্জ আনিসুর রহমানের পক্ষে জামিন চাওয়া হলে তাও নাকচ করেন বিচারক।
এদিকে আদালত সূত্রে জানা গেছে, ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে আসামিদের জামিন আবেদন নাকচ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ পুনর্বিবেচনার জন্য আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। সংশ্লিষ্ট বিচারক ইসমাইল হোসেন আজ এ আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করেছেন। আসামিদের কারাগারে পাঠানোর একদিনের মাথায় ফের জামিন পুনর্বিবেচনার আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য করাকে নজীরবিহীন বলে সাধারণ আইনজীবীদের মধ্যে এ নিয়ে ব্যাপক জল্পনা-কল্পনা চলছে। আসামিদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এটিএম গোলাম গাউস, মোহম্মদ আলী প্রমুখ। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষে আদালতের অতিরিক্ত পিপি আনোয়ারুল কবীর বাবুল, সামসুর রহমান জামিনের বিরোধিতা করেন। শুনানিকালে আদালতে ওই ঘটনায় নিহত ও আহত শ্রমিকদের কিছু আত্মীয়স্বজন হাজির হন। তারা দেলোয়ার ও তার স্ত্রীকে আদালতে আনা-নেয়ার সময় খুনি খুনি বলে চিত্কার করে। ক্ষতিগ্রস্তদের উপস্থিত স্বজনরা একপর্যায়ে আসামিদের মারতে উদ্যত হলে উপস্থিত কোর্ট পুলিশ তাদের নিবৃত করে।
গত বছরের ১৯ ডিসেম্বর তাজরিন ফ্যাশন্সে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন ও তার স্ত্রীসহ ১৩ জনকে অভিযুক্ত করে ঢাকার চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সিআইডি পুলিশের পরিদর্শক মহসীন উজ্জামান খান অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে ১০৪ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। প্রসঙ্গত, মামলার ছয়জন আসামি জামিনে আছেন। এ দু আসামি আত্মসমর্পণ করার ফলে কারাগারে আছেন তিনজন। অন্য ৪ জন আসামি পলাতক।