স্টাফ রিপোর্টার: মানিক মিয়া অ্যাভিনিউ ও নাখালপাড়ার সংসদ সদস্য ভবনে (ন্যাম ফ্ল্যাট) এবার মন্ত্রীরা ফ্ল্যাট বরাদ্দ পাবেন না। গতকাল রোববার সংসদ কমিটির প্রথম বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে সংসদ সচিবালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। সংসদ কমিটির মাধ্যমে দশম সংসদের সংসদীয় কমিটির বৈঠকের যাত্রা শুরু হলো। সংসদ সদস্যদের আবাসনসহ অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে সংসদ কমিটি কাজ করে।বিগত নবম সংসদের সদস্যদের মধ্যে যারা মন্ত্রিসভায় ছিলেন, তাদের ন্যাম ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়। এরপর মন্ত্রীদের আলাদা বাড়িতে উঠলেও গত সংসদের কেউই ন্যাম ফ্ল্যাট ছাড়েননি, যা নিয়ে গণমাধ্যমে আলোচনাও ওঠে। সংসদ সদস্যদের বরাদ্দ করা ফ্ল্যাটে পরিবারের (স্ত্রী, ছেলে, মেয়ে, বাবা, মা, ভাই-বোন) বাইরের কেউ থাকতে পারবে না বলেও সিদ্ধান্ত নিয়েছে সংসদ কমিটি। এর আগে একাধিক সংসদ সদস্যদের ফ্ল্যাটে তাদের ব্যক্তিগত সহকারী, গাড়িচালক, এলাকার স্বজন ও রাজনৈতিক সহকর্মীদের অবস্থানের খবর প্রকাশ হয়েছিলো। নবম সংসদে পটুয়াখালীর সংসদ সদস্য গোলাম মাওলা রনির ফ্ল্যাটে তার ব্যক্তিগত সহকারীর থাকার বিষয়টি গণমাধ্যমে আলোচনারও সৃষ্টি করেছিলো। নবম সংসদের সংসদ কমিটি এ বিষয়ে একাধিকবার পদক্ষেপ নিলেও কোনো কাজ হয়নি। দশম সংসদের এমপিদের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দিতে একটি আবাসিক উপকমিটি গঠন করা হয়েছে। প্রধান হুইপ আ.স.ম ফিরোজকে আহ্বায়ক চার সদস্যদের ওই কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- নূর-ই-আলম চৌধুরী, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী ও বিরোধীদলীয় প্রধান হুইপ মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী। চিফ হুইপ বলেন, প্রাপ্যতা অনুযায়ী প্রত্যেক রাজনৈতিক দলের প্রদত্ত তালিকা অনুযায়ী ফ্ল্যাট বরাদ্দ চূড়ান্ত করা হবে। কমিটির সভাপতি প্রধান হুইপের সভাপতিত্বে এ বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. আব্দুস শহীদ, নূর-ই-আলম চৌধুরী, সাগুফতা ইয়াসমিন, মো. তাজুল ইসলাম চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, মো. আসলামুল হক, মাহাবুব আরা বেগম গিনি, নাজমুল হক প্রধান ও তালুকদার মো. ইউনুস অংশ নেন।