গরুভর্তি পাউয়ার ট্রলি দুর্ঘটনা : চণ্ডিপুরের চালক জিয়া ও গরুব্যবসায়ী নাজিম নিহত

দামুড়হুদার চণ্ডিপুর থেকে গরু নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জের উদ্দেশে রওনা হয়ে তেঘরি ব্রিজের অদূরে বিপত্তি

 

বদরগঞ্জ/কুড়লগাছি প্রতিনিধি: গরুবহন করা পাউয়ার ট্রলি দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গতকাল শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ-খাড়াগোদা সড়কের বেজিডাঙ্গা মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত দুজন দামুড়হুদা কুড়ুলগাছির চণ্ডিপুরের গরুব্যবসায়ী নাজিম ও একই গ্রামের পাউয়ার ট্রলিচালক জিয়ারুল ইসলাম জিয়া। একই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৩ জন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের চণ্ডিপুর বাগানপাড়ার বদর উদ্দিনের ছেলে নাজিম উদ্দিন (৬৫), শামসুদ্দিনের ছেলে আলাউদ্দিন ওরফে তেতুল (৪৫), আবু বক্কর সিদ্দিকের ছেলে নুরুল আমিন (৫০) ও আমির হোসেনের ছেলে হেলাল উদ্দিন (৩২) গরুব্যবসায়ী। গ্রাম ও সীমান্ত থেকে গরু কিনে দেশের বিভিন্ন জেলার পশুহাটে গরু বিক্রি করে থাকেন তারা। একই গ্রামের ইস্রাফিল হোসেনের ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ওরফে জিয়ার (৩০) পাউয়ার ট্রলিযোগে ৫টি গরু নিয়ে চুয়াডাঙ্গার বদরগঞ্জ দশমাইল পশুহাটের উদ্দেশে রওনা হন। দুপুর দেড়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-সরোজগঞ্জ সড়কের তেঘরি ব্রিজের নিকট বেজিডাঙ্গা মোড়ের অদূরে বিপরীতমুখি আলমসাধুকে পাশ কাটাতে গিয়ে চালক জিয়া নিয়ন্ত্রণ হারান। সড়কের ধারে গাছের সাথে পাউয়ার ট্রলি ধাক্কা লেগে পার্শ্ববর্তী খাদে উল্টে পড়ে। গরুভর্তি পাউয়ার ট্রলির নিচে চাপা পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন চালক জিয়া। গুরুতর আহত হন গরুব্যবসায়ী নাজিম, তেতুল, নুরুল আমিন ও হেলাল। আহতদের উদ্ধার করে সাথে সাথে চিকিৎসার জন্য ভর্তি করা হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। পথিমধ্যে মারা যান নাজিম। আহতদের মধ্যে তেতুল ও নুরুল আমিনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে। একই গ্রামের দুজনের মর্মান্তিক মৃত্যুর খবর পৌঁছুলে গোটা এলাকায় নেমে আসে শোকের ছায়া। স্বজনদের মধ্যে শুরু হয় কান্নার মাতম। আইনি জটিলতা কাটিয়ে গ্রামে লাশ আনতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে যায়। স্বজনদের আকাশ ফাটা আর্তনাদে ভারী হয়ে ওঠে বাতাস। কোনোভাবেই এ মৃত্যু মেনে নিতে পারছিলেন না কেউ। গতকালই রাত ৮টার দিকে স্থানীয় গোরস্তানে বেদনাবিধুর পরিবেশে জিয়া ও নাজিমের লাশ দাফন সম্পন্ন করা হয়।