স্টাফ রিপোর্টার: জীবনযাপনে চরম উচ্ছৃঙ্খল ঐশী। এ কারণে বাবা-মা তাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বাসার বাইরে যাওয়া বন্ধ রাখে। পুরো রমজান মাস ঐশী বাসার বাইরে বের হতে পারেনি। মাদক সেবনের বিষয়টি পরিবার জানতে পারায় বাসাতেও কড়া পাহারায় রাখা হয় ঐশীকে। বাসার ম্যানেজার ও দারোয়ানকেও বলে রাখে কোনোভাবেই সে যেন বাইরে বের হতে না পারে। বের হলেও ইন্টারকম কিংবা মোবাইলে যেন তাদের জানানো হয়।
বাসার নিরাপত্তা সংশ্লিষ্টরা জানান, ঐশীর ওপর পরিবারের কঠোর নির্দেশ এলে তারাও কঠোর হন। এক পর্যায়ে মেয়েটির মা তার মোবাইল নম্বরও দিয়ে রাখেন। পরিবারের সদস্যরা জানান, ঐশী রহমান বেশ উচ্ছৃঙ্খল ও মাদকাসক্ত হয়ে পড়ে। কাজ না থাকলেও সকালে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। রাত করে বাসায় ফেরে। বেশ কিছু দিন এসব পর্যবেক্ষণের পর বাবা-মা দুজনেই খুবই চিন্তিত হয়ে পড়েন। তারা যতোদূর জানেন এসব জেনে মাহফুজুর রহমান ও স্বপ্না রহমান তাদের মেয়ে ঐশীর বিষয়ে কড়াকড়ি আরোপ করেন।
পরিবারের সদস্যরা বলেছেন, মেয়ের উচ্ছৃঙ্খলতায় ইন্সপেক্টর মাহফুজুর রহমান উদ্বিগ্ন হন। এক পর্যায় তার বাবা-মা আত্মীয়স্বজনদের সাথেও আলোচনা-পরামর্শ নিতেন। একপর্যায়ে রমজান মাসের শুরু থেকে ঐশীর চলাফেরার ওপর নিয়ন্ত্রণ আসে।
ঐশীর মামা মো. রায়হান বলেন, ঐশী ইয়াবা সেবন করতো বলে আমরা শুনেছি। সে এর আগে প্রায়ই রাতে দেরি করে বাসায় ফিরতো। গত রমজানে তাকে অনুমতি ছাড়া বাসার বাইরে যেতে দেয়া হতো না। কিন্তু পরিবারের এসব বিষয় মান-সম্মানের ভয়ে বাইরে প্রকাশ করা হতো না। তারপরও ঐশীর একার পক্ষে বাবা-মাকে হত্যা সম্ভব কি-না সেটি নিয়ে প্রশ্ন ওঠে। ঐশী ধানমণ্ডির অক্সফোর্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের ও লেভেলে পড়ার সময়েই মাদকাসক্ত হয়ে উচ্ছৃঙ্খল হয়ে পড়ে বলে তার আত্মীয়রা জানান।
পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, পরিবার থেকে বলা হয়েছে মেয়েটির স্বভাব ভালো ছিলো না। এ নিয়ে বাবা-মা টেনশনে ছিলেন। মাদক সেবন ও বন্ধুদের সাথে আড্ডায় সে পশ্চিমা কালচারে জড়িয়ে পড়ে। এটি বাবা-মা কোনোভাবেই মানতে না পারায় তার হাত থেকে মোবাইলফোনও কেড়ে নেন।