মাথাভাঙ্গা অনলাইন : বাংলাদেশে নানা নামে বাজারজাত গুড়োদুধের আশি শতাংশই নিউজিল্যান্ডের ফন্টেরা ব্র্যান্ডের। চট্টগ্রাম বন্দরে আমদানি করা এই দুধে পঙ্গুত্ব সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার অস্তিত্ব থাকার অভিযোগ নিয়ে তাই ছড়াচ্ছে উদ্বেগ। তবে এখনও এই দুধ বাজারে আসেনি।বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ব্যাকটেরিয়া উপস্থিতির পরীক্ষা ছাড়া চালান ছাড় না করার নির্দেশনা দেয়ার পর প্রায় ৬০০ টন গুড়া দুধ আটকা পড়েছে চট্টগ্রাম বন্দরে।
বিশ্বের শীর্ষ গুঁড়া দুধ উৎপাদক নিউজিল্যান্ডের ফন্টেরা। গত মে মাসে পরীক্ষায় এই ব্র্যান্ডের গুঁড়া দুধে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়ার উপস্থিতি নিশ্চিত হওয়ার পর প্রথমে চীন এরপর একে একে রাশিয়া, শ্রীলংকা, ভিয়েতনাম তাদের দেশে ফন্টেরার দুধ আমদানি নিষিদ্ধ করে এবং খোলা বাজার থেকে সব দুধ তুলে নেয়। বাংলাদেশে আমদানি নিষিদ্ধ না করলেও আগাম সতর্কতা হিসেবে ব্যাকটেরিয়া পরীক্ষার ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দর কাস্টমসের তথ্য অনুযায়ী, ২০১২-১৩ অর্থবছরে ফন্টেরা থেকে প্রায় ২১ হাজার টন দুধ বাংলাদেশে আসে। আর এবার এসেছে ৬০০ টনের একটি চালান। বিএসটি্আই এর পরীক্ষার পরই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
আমদানি করা দুধ বাংলাদেশী বাজারজাতকারক প্রতিষ্ঠানগুলো বিভিন্ন নামে প্যাকেটজাত করে বাজারে বিক্রি করেন। বাজারে থাকা গুঁড়ো দুধের ৮০ শতাংশই ফন্টেরার। তাই এই নিয়ে দুঃচিন্তায় ক্রেতা-বিক্রেতার।
অন্যদিকে নিউজিল্যান্ডে সরকার দাবি করেছে, ফন্টেরার গুঁড়া দুধে যে ব্যাকটেরিয়া পাওয়া গেছে তা মানবদেহের কোনো ক্ষতি করবে না্। কিন্তু এই অভিযোগে যেহেতু উন্নত অনেক দেশই আমদানি নিষিদ্ধ করেছে তাই বাংলাদেশের এমন আগাম সতর্কতা যুক্তি সংগত বলে মনে করছেন অনেকে।