প্রেমিককে খুঁজতে চাঁপাইয়ের মমতা এখন চুয়াডাঙ্গায়
স্টাফ রিপোর্টার: মন না জেনে প্রেমে মজে কলেজছাত্রী মমতাজ এখন চুয়াডাঙ্গার পথে পথে। মোবাইলফোনে প্রেমে মজে মমতাজ চাঁপাইনবাবগঞ্জের ছাত্রী হোস্টেল থেকে ঢাকায় প্রেমিকের সাথে দু দিন হোটেলে অবস্থানও করেছে। আবুল কালাম আজাদ বলে পরিচয় দেয়া চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান পদে চাকরি করে বলে জানানোর কারণেই মমতাজ ওরফে ঝর্ণা এখন চুয়াডাঙ্গায়।
আবুল কালাম আজাদ নিজেকে ঝিনাইদহ হরিণাকুণ্ডুর ছেলে বলে জানিয়েছিলো। দীর্ঘদিন ধরে মোবাইলফোনে কলেজছাত্রীর সাথে প্রেম সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিয়ের প্রতিশ্রুতিতে ঢাকায় থাকে। সেখানে বিয়ে না করেই বাসর সারে। কৌশলে সটকে পড়ে আবুল কালাম আজাদ। তাকে খুঁজতেই মূলত গতকাল চুয়াডাঙ্গায় পৌঁছেছে মমতা ওরফে ঝর্ণা।
ঝর্ণা তার পরিচয় দিতে গিয়ে বলেছে, বাড়ি চাঁপাইনবাববগঞ্জের রাজরায়পুর গ্রামে। অনার্সের ছাত্রী। সে জানায়, চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে আসছিলো। মোবাইলফোনে পরিচয় হয় যুবকের সাথে। সে নিজেকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের টেকনিশিয়ান বলে পরিচয় দিয়ে বলেছিলো বাড়ি ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডুতে। প্রেম সম্পর্ক গভীর করে তোলার এক পর্যায়ে প্রেমিক ঢাকায় আহ্বান জানায়। হোস্টেল থেকে বাড়ি ফেরার কথা বলে অনার্স ছাত্রী মমতা ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়। সেখানে তাদের দুজনের দেখা হয়। আবুল কালাম আজাদ ছবি দেয়। হোটেলে দুদিন অবস্থান করে। অপরদিকে হোস্টেলে বাড়ির লোকজন দেখা করতে গিয়ে না পেয়ে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করে। মমতা জানায়, সে তার প্রেমিকের সাথে ঢাকায়। প্রেমিক আবুল কালাম আজাদ বিয়ে করবে করছি বলে সেরে নেয় বাসর। মমতাকে বাড়ি ফিরতে বলে। বাড়ি ফিরে সমস্যা হলে চুয়াডাঙ্গায় চলে আসারও আহ্বান জানায় প্রেমিক। সেই আহ্বানেই গতপরশু চাঁপাই থেকে ট্রেনযোগে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়। গতকাল সন্ধ্যায় ঈদগাঁপাড়ার আশাদুল হকের সামনে পড়ে। হাসপাতাল চিনিয়ে দিতে বললে আশাদুলের সন্দেহ হয়। বহিরাগত যুবতীকে ডেকে বিস্তারিত জানেন। পরে অবশ্য পুলিশ খবর পায়। পুলিশ যুবতীকে থানায় নেয়ার চেষ্টা করলেও সে আসতে অস্বীকৃতি জানায়। ফলে আশাদুল হকের বাড়িতেই তার আশ্রয় হয়।
মমতা তার কাছে থাকা ছবি বের করে বলেছে, আমি বুঝতে পারছি না, মানুষ এরকম হয় কীভাবে? ওকে আমি খুঁজে বের করবোই বলে জানিয়ে মমতা বলেছে, ওর মোবাইলফোনটি দুদিন ধরে বন্ধ।