স্টাফ রিপোর্টার: মিরপুর টেস্টের দ্বিতীয় দিন দুর্ভাগ্য তাড়া করে ফিরেছে বাংলাদেশের। গোটা দিনে হাতছাড়া হয়েছে কয়েকটি ক্যাচ। তবুও দিন শেষে বাংলাদেশ কিছুটা স্বস্তি পেতে পারে এ ভেবে, শ্রীলঙ্কার পাঁচ ব্যাটসম্যানকে অন্তত সাজঘরে ফেরানো গেছে। প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ১০৮.২ ওভারে ৫ উইকেটে ৩৭৫। অ্যাঞ্জোলা ম্যাথুসের দল এগিয়ে ১৪৩ রানে। হাতে উইকেট রয়েছে পাঁচটি। দ্বিতীয় দিনে খেলা হয়েছে ৮৯.২ ওভার। গতকাল শ্রীলঙ্কা রান তুলেছে ৩১৫। ওভার প্রতি রান ৩ দশমিক ৪৬। পাঁচ উইকেটের তিনটিই সাকিব আল হাসানের। বাংলাদেশের বাজে ফিল্ডিঙের সুযোগে প্রথমেই ভুগিয়েছেন দু উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান দিমুথ করুনারত্নে ও কুশল সিলভা। উদ্বোধনী জুটিতে এসেছে ১১৮। করুনারত্নেকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক-থ্রু এনে দেন সাকিব আল হাসান। তবে বাংলাদেশের আসল ভোগান্তি শুরু এর পরই। কুমার সাঙ্গাকারা ও সিলভার দ্বিতীয় উইকেট জুটি ৪৯.৪ ওভার উইকেট-বঞ্চিত রাখে বাংলাদেশকে। দুজনের যুগলবন্দীতে আসে ১৫৫ রান।
এরপর আল-আমিন হোসেনের সেই ওভার। সারাদিনই বেশ কবার লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের চাপে ফেলেছিলেন। কিন্তু মিলছিলো না উইকেটের দেখা। নিজের ২২তম আর ইনিংসের ৮৭তম ওভারের শেষ বলে আল-আমিনের শিকার হন সাঙ্গাকারা। খোঁচা মারতে গিয়ে প্রথম স্লিপে দাঁড়ানো নাসিরের হাতে ক্যাচ তুলে দেন শ্রীলঙ্কার অন্যতম সফল এ বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান। সেখানেও দেখা মেলে দারুণ এক দৃশ্য। নাসির একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টায় তালুবন্দী করেন মহামূল্যবান ক্যাচটি! আল-আমিনের শিকার হওয়ার আগে সাঙ্গাকারা খেলেছেন ৭৫ রানের দারুণ ইনিংস। সাঙ্গাকারাকে ফেরানোর পর কুশল সিলভাকেও বেশিক্ষণ উইকেটে থাকতে দেননি বাংলাদেশি বোলাররা। ১৩৯ রানে সিলভা ফিরেছেন সাকিবের এলবিডব্লুর ফাঁদে পড়ে। তবে গলার কাঁটা হয়ে উইকেটে রয়েছেন শ্রীলঙ্কার আরেক ভরসা মাহেলা জয়াবর্ধনে। অপরাজিত রয়েছেন ৪২ রানে। ১ উইকেটে ২৭৩ থেকে দিন শেষে শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫ উইকেটে ৩৭৫। মূলত শেষ সেশনেই বাংলাদেশের বোলাররা কিছুটা আনন্দের উপলক্ষ খুঁজে পেয়েছেন। আর মুখে হাসি এনে দেয়ার মূল কাজটি করেছেন সাকিব। শ্রীলঙ্কার ৫ উইকেটের তিনটিই নিয়েছেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। বাকি দুটি ভাগ করে নিয়েছেন আল-আমিন ও সোহাগ গাজী। শেষ সেশনে শ্রীলঙ্কা তুলেছে ১০২ রান, খোয়াতে হয়েছে ৪ উইকেট। কালকের প্রথম সেশনটি বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ সেশনে শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে দ্রুত আটকাতে না পারলে ম্যাচ বাঁচানো কঠিন হবে মুশফিকের দলের।