মাথাভাঙ্গা মনিটর: বিশ্বমোড়ল যুক্তরাষ্ট্র সিরিয়া যুদ্ধে নিজেকে জড়ানোর ঘোষণা দিয়েছেন। তার সাথে সুর মিলিয়েছে তার দু মিত্র যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স। আন্তর্জাতিক সংবাদ মাধ্যমগুলোর বরাতে জানা যায়, কয়েক দিনের মধ্যে পশ্চিমা সামরিক হস্তক্ষেপ হবে সিরিয়ায়। প্রস্তুতিও প্রায় এক প্রকার সেরে ফেলেছে পশ্চিমা। মার্কিন যুদ্ধজাহাজ ইউএসএস ট্রুম্যান ওমানের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, বাহরাইনে তো আগে থেকেই রয়েছে তাদের পঞ্চম নৌবহর। এছাড়াও সিরিয়ার আশপাশে স্থায়ী-অস্থায়ীভাবে পশ্চিমাদের সামরিক ঘাঁটি রয়েছে। যুদ্ধ শুরু হলে ইসরায়েল থেকে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা যে হবে না, তার নিশ্চিয়তা দেয়া যায় না। গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদ মাধ্যমে, খবর প্রকাশিত হয়েছে, এখনও যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ওবামা সিরিয়ায় হামলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেননি। তবে তিনি নিশ্চিত, সিরিয়ার সরকার তার দেশের জনগণের বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহার করেছে। ২০১১ সালে আরব বসন্ত শুরু হলে তার হাওয়া লাগে সিরিয়ার গায়ে। সেই হাওয়ায় ওই বছরের মার্চ থেকে শুরু হয় সরকার বিরোধী আন্দোলন। সেই আন্দোলন আজ গৃহযুদ্ধের পর্যায়ে। হিংসতার শুরু থেকেই সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদকে ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়াতে বলে আসছে পশ্চিমারা। সিরিয়ার সরকারের বিরুদ্ধে জাতিসংঘে বেশ কয়েকবার নিষেধাজ্ঞা আরোপের চেষ্টা চালিয়ে চীন ও রাশিয়ার বিরোধিতার মুখে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্সের উদ্যোগ ব্যর্থ হয়। এবার সিরিয়ার বিরুদ্ধে রাসায়নিক অস্ত্র ব্যবহারের অভিযোগ এনে-সামরিক হামলা চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্ররা। সিরিয়ার ঘনিষ্ট মিত্র রাশিয়া শুরু থেকেই বাশার আল-আসাদের সাফাই গেয়ে আসছে। সিরিয়ায় হামলা হলে তা ইতিহাসের ভুলের পুনরাবৃত্তি হবে বলে মন্তব্য রুশ কর্তৃপক্ষের। বেসামরিক নাগরিকের মানবাধিকার রক্ষায় আসাদবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলা চালাতে যাচ্ছে পশ্চিমারা। কিন্তু সম্ভাব্য হামলা প্রতিরোধে মুখে যুদ্ধ চালালেও হাতে অস্ত্র ধরবে না রাশিয়া। তারা কারও পক্ষে যুদ্ধ করবে না। রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সার্গেই ল্যাভরভই এ কথা বলেছেন।