মাথাভাঙ্গা মনিটর: জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজের আশা বাঁচিয়ে রাখলো পাকিস্তান। গতকাল বৃহস্পতিবার মোহাম্মদ হাফিজের দারুণ ব্যাটিঙের পর জুনাইদ খানের দুর্দান্ত বোলিঙে ৯০ রানে জিতেছে তারা। এ জয়ে ১-১ ব্যবধানে সমতা ফেরালো পাকিস্তান। পাকিস্তান: ২৯৯/৪ (৫০ ওভার), জিম্বাবুয়ে: ২০৯/১০ (৪২.৪ ওভার), ফল: পাকিস্তান ৯০ রানে জয়ী।
লক্ষ্যে নেমে ব্রেন্ডন টেলর জয়ের জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করে গেছেন। ৭৯ রানের ব্যক্তিগত সেরা ইনিংস খেলে জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক পাকিস্তানি স্পিনার সাঈদ আজমলের শিকার হলে আর কেউ ব্যাট হাতে দাঁড়াতে পারেননি। এছাড়া ম্যালকম ওয়ালার ৪০, শন উইলিয়ামস ৩৭ ও হ্যামিলটন মাসাকাদজা ২৪ রান করে কিছুটা চেষ্টা করেছিলেন। পাকিস্তানি পেসার জুনাইদ একাই চারটি উইকেট নেন। দুটি করে পেয়েছেন আব্দুর রেহমান ও আজমল। এর আগে হারের স্পোর্টিং ক্লাবে জিম্বাবুয়ের কাছে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান প্রথম উইকেটটি হারায় ১২ রানে। আহমেদ শেহজাদ ৫ রানে ব্রায়ান ভিটরির শিকার হন। আরেক ওপেনার নাসির জামশেদ ৫০ রানের জুটি গড়েন হাফিজকে নিয়ে। ব্যক্তিগত ৩২ রানে প্রসপার উতসেয়ার কাছে এলবিডব্লু হন তিনি।
সফরকারী অধিনায়ক মিসবাহ উল হক বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি হাফিজকে। ২৩ বল খেলে মাত্র ৩ রানে ভিটরির দ্বিতীয় শিকার তিনি। এরপর উমর আমিন ও হাফিজের জুটিটি দলকে ভালো সংগ্রহ এনে দেয়। ১২৯ রানের এ জুটি ভাঙে আমিন রান আউট হলে। এর আগে অষ্টম ওয়ানডেতে তিনি দেখা পান প্রথম ফিফটির। ৫৯ রানে সাজঘরে ফিরেন আমিন। নেমে ঝড়ো ইনিংস খেলেন শহীদ আফ্রিদি। হাফিজ ও আফ্রিদি জুটি ৪৫ বলে ৮৬ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়েন। ২৩ বলে এক বাউন্ডারি ও তিনটি ছক্কায় ৩৯ রানে অপরাজিত ছিলেন আফ্রিদি। অপর প্রান্তে ১৩০ বলে নয় চার ও পাঁচ ছয়ে ১৩৬ রানে টিকে ছিলেন হাফিজ। ম্যাচসেরা এ ইনিংস খেলার পথে ষষ্ঠ ওয়ানডে শতক গড়েন ডানহাতি এ ব্যাটসম্যান।