সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি হত্যা আগের থেকে অনেক কমেছে
স্টাফ রিপোর্টার: বর্ডার গার্ড ব্যাটলিয়ন- বিজিবির মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, কিশোরী ফেলানী হত্যা বিষয়টি এখন আন্তর্জাতিক বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। আগামী মার্চ মাসে দিল্লিতে বিএসএফ-বিজিবি মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে বিষয়টি উপস্থাপন করা হবে।
চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির আওতাধীন সীমান্ত এলাকার বিভিন্ন বিওপি পরিদর্শন শেষে জাফরপুরস্থ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরে গতকাল বুধবার বিকেলে সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিজিবি মহাপরিচালক উপরোক্ত মন্তব্য করেন। সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সীমান্তে গুলি করে মানুষ হত্যার অন্যতম প্রধান কারণ গরুব্যবসা। সীমান্তে ভারতীয় অংশে সন্ধ্যার পর কার্ফ্যু জারি থাকে। কার্ফ্যু চলাকালে অনুপ্রবেশকারীরাই সীমান্তে হত্যার শিকার হয়। তবে সাম্প্রতিক সময়ে সীমান্তে গুলি করে বাংলাদেশি হত্যা কমেছে বলে তিনি দাবি করেন। এর সংখ্যা শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনতে আরও সময় প্রয়োজন এবং এর জন্য সীমান্ত এলাকার বাসিন্দাদের মধ্যে গণসচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে বিজিবি যশোর অঞ্চলের আঞ্চলিক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামসুর রহমান, কুষ্টিয়া সেক্টর কমান্ডার কর্নেল শাহরিয়ার রশীদ ও বিজিবি-৬ চুয়াডাঙ্গার পরিচালক লে. কর্নেল এসএম মনিরুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশের সীমান্তের বিপরীতে ১৮টি পয়েন্টে গুদাম ভাড়া নিয়ে ফেনসিডিলে পানি ও নেশাজাতীয় পদার্থ কোডিন মেশানো হতো। বিএসএফ’র কাছে তালিকা দেয়ার পর সেগুলো ভেঙে ফেলা হয়েছে। তবে অন্যান্য এলাকায় নতুন করে গুদাম ভাড়া নিয়ে একই ধরনের তৎপরতা চালানোর খবর শোনা যাচ্ছে। ভারতীয় হাইকোর্ট অতি সম্প্রতি আদেশ দিয়েছেন এক প্রদেশ থেকে অন্য প্রদেশে ফেনসিডিল চাহিদা অনুযায়ী বহন করা যেতে পারে। অতিরিক্ত বহন করলেই দণ্ড দেয়া হবে। এ আদেশের পর থেকে ফেনসিডিল পাচারও কমে গেছে। চুয়াডাঙ্গা জেলায় সীমান্ত হাট চালু করার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিজিবি প্রধান জানান, সারাদেশের মতো চুয়াডাঙ্গা জেলার মানুষের চাহিদা বিবেচনা করে ভবিষ্যতে সীমান্ত হাট চালু করার পরিকল্পনা আছে। এজন্য সবার সহযোগিতা কামনা করেন তিনি। চুয়াডাঙ্গায় কর্মরত বিভিন্ন টেলিভিশন, জাতীয় ও স্থানীয় দৈনিক পত্রিকার সাংবাদিকরা এ মতবিনিময়সভায় উপস্থিত ছিলেন।