মাথাভাঙ্গা মনিটর: পৃথ্বী পঙ্কজ শাহের কীর্তির স্মৃতি সজীব থাকার কথা সবার মনে। এই তো গত নভেম্বরে, কী রেকর্ডটাই না গড়লো ভারতীয় কিশোর! যাদের মনে রয়েছে, থাকুক। যাদের মনে নেই, আবার একটু স্মরণ করিয়ে দেয়া যাক। মুম্বাইয়ের আজাদ ময়দানে অনুষ্ঠিত ভারতের স্কুল ক্রিকেট টুর্নামেন্টে ‘হ্যারিস শিল্ডে’র সেন্ট ফ্রাঞ্চিস ডি’আসিসির বিপক্ষে পৃথ্বী খেললো দুর্দান্ত এক ইনিংস। ৩৩০ বলে ৫৪৬! ইনিংস সাজালো ৮৫টি চার ও পাঁচ ছক্কায়। ছেলেটি কতো বয়স জানেন? মাত্র ১৪। ভারতীয় কিশোরের কীর্তি শুনে আপ্লুত হয়েছিলেন সুনীল গাভাস্কার। এবার পৃথ্বী পেলো আরেকটি সুসংবাদ। ভারতের ঐতিহাসিক ‘ক্রিকেট ক্লাব অব ইন্ডিয়ার’ (সিসিআই) সদস্য পদ পেয়েছে সে। গতকাল ব্যাপারটি নিশ্চিত করেছে ক্লাব কর্তৃপক্ষ। পৃথ্বীই এখন সিসিআইয়ের ইতিহাসে সবচেয়ে কনিষ্ঠ ক্রিকেটার, আগে যে কীর্তিটা ছিলো টেন্ডুলকারের। ক্লাব সভাপতি সিবান্তি পারেখ বলেন, ‘অসম্ভব কাজটি করেছে আমাদের ক্রিকেট কমিটি। সিসিআই এ বিশেষ সুবিধা দিয়েছে তাকে উত্সাহিত করতে। এটা শচীনের ক্ষেত্রেও ঘটেছিলো। ক্রিকেটারদের তুলে আনতে আমরা সবসময়ই আগ্রহী। এখন থেকে ক্লাবের দরজা তার জন্য খোলা। নিশ্চিত পৃথ্বী প্রতিভার সাক্ষর রাখতে পারবে। ক্রিকেটার হিসেবে তার উন্নয়নে যদি কিঞ্চিত ভূমিকা রাখতে পারি, তাতেই খুশি আমরা। দারুণ খুশি পৃথ্বীও। বললো, ‘সম্মানিত বোধ করছি। ঐতিহ্যবাহী এ ক্লাবে অনেক সুবিধা রয়েছে। অনেক বিখ্যাত খেলোয়াড় এখানে খেলেছেন। ক্লাবের দারুণ মাঠে হ্যারিস শিল্ডের একটি ম্যাচে শতক হাঁকিয়েছিলাম।’ পৃথ্বী যখন ৫৪৬ করলো তখন আপনা আপনি শচীন-কাম্বলির ঐতিহাসিক ৬৬৪ রানের জুটির প্রসঙ্গ এসেছিলো। প্রায় দু যুগ আগে এ টুর্নামেন্টেই বন্ধু বিনোদ কাম্বলিকে নিয়ে ৬৬৪ রানের জুটি গড়েছিলেন শচীন টেন্ডুলকার। সিসিআইয়ের সদস্য হওয়ার পর আবারও অবধারিতভাবেই শচীন প্রসঙ্গ এলো। ঐতিহ্যবাহী সিসিআইয়ের ড্রেসিং রুম ও ক্লাব হাউসে ১৮’র নিচে কারও যাওয়ার অনুমতি নেই। কিন্তু ১৯৮৮ সালে টেন্ডুলকারকে যখন ক্লাব সদস্য করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, তখনই বাধে ফেঁকড়া। কেন না লিটল জিনিয়াসের বয়স তখন যে মোটে ১৫। কেবল টেন্ডুলকারের জন্য সেবার নিয়ম সংশোধন করে সিসিআই। একই ঘটনা ঘটেছে পৃথ্বীর ক্ষেত্রেও। সব কথার এক কথা, পৃথ্বী পারবে টেন্ডুলকারের মতো মহীরুহে পরিণত হতে? সে উত্তর না হয় সময়ের হাতেই তোলা থাক।