মাথাভাঙ্গা মনিটর: রেফারির কী একটা সিদ্ধান্তে খেপে গেলেন প্যাট্রিস এভরা। ডাগআউটে খানিক উত্তেজনা ছড়ালেন ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড কোচ ডেভিড ময়েস। সচরাচর যেটা করেন না, সেটাই করলেন হোসে মরিনহো। ময়েসের কাছে গিয়ে তাকে সান্ত্বনা দিলেন। অথচ ম্যানচেস্টার সিটি কোচ ম্যানুয়েল পেলেগ্রিনি যখন স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে এসেছিলেন, তখন মরিনহো হাতও মেলাননি! সেই মরিনহোই অন্য রকম আচরণ করলেন ময়েসের সাথে। ম্যাচে তখন চেলসি ২-০ গোলে এগিয়ে বলেই হয়তো তার অমন সহমর্মিতা! মরিনহো-ময়েস বাদ দিয়ে বরং স্যামুয়েল ইতোকে নিয়েই কথা বলা যাক। এ মরসুমে স্ট্রাইকারদের গোলখরাটা কপালে ভাঁজ ফেলেছিলো মরিনহোর। পরশু সেটা অসাধারণ এক হ্যাটট্রিক করেই যেন ঘুচিয়ে দিলেন ইতো। ১৯৫৪ সালে সিমাস ও’কনেল চেলসির হয়ে শেষবার হ্যাটট্রিক করেছিলেন ইউনাইটেডের সাথে। ৬০ বছর পর সেই কীর্তির পুনরাবৃত্তি করলেন ইতো। ৩২ বছর বয়সী ক্যামেরুনিয়ান এ স্ট্রাইকারের গোলেই চেলসি ৩-১ গোলে হারিয়েছে ইউনাইটেডকে। এ হারে ইউনাইটেডের ট্রফি জয়ের আশার শেষই দেখে সবাই। যে মরিনহো দুদিন আগেই বলেছিলেন, ইউনাইটেডকে বিবেচনায় রাখতে হবে, সেই তিনিই মনে করেন ইউনাইটেডর আশা শেষ।