মেহেরপুর তাঁতিপাড়া মহিলা মাদরাসার ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রী ধর্ষিত হওয়ার ঘটনায় ধর্ষক আল আমিনসহ অজ্ঞাত আরো দু জনকে আসামি করে মেহেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এছাড়া ধর্ষণ কাজের সহযোগিতাকারী সন্দেহে আটক দু মহিলাকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার এসআই ইকবাল হোসেন জানান, ধর্ষকের সহযোগী সন্দেহে বুধবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর শহরের ঈদগাপাড়া থেকে আটক শিক্ষানবীশ নার্স মুজিবনগর উপজেলার ভবেরপাড়া গ্রামের নাজমা ও সালমাকে ধর্ষিতার মুখোমুখি করা হয়। সেখানে তাদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের সহযোহিতার প্রমাণ মেলেনি। পরে নাজমা ও সালমাকে ওই মামলা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়েছে। নাজমা ও সালমা পুলিশকে জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যারাতে ধর্ষিতাসহ তারা তাদের প্রেমিকদের নিয়ে ওই বাগানে যায়। সুযোগ বুঝে আল আমীন তার প্রেমিকাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে রক্তাক্ত করে। এক পর্যায়ে ধর্ষক আল আমিন সালমার প্রেমিক শহরের জয় ও নাজমার প্রেমিক শহরের জুবায়েরকে ডেকে ধর্ষণের কথা গোপন রেখে মেয়েটির জ্ঞান হারানোর কথা জানায়। পরে নাজমা ও সালমা মঙ্গলবার রাতে ধর্ষিতাকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়া ধর্ষিতার পিতা রুহুল আমিন বাদী হয়ে ধর্ষক আলামিনসহ অজ্ঞাত আরো দুজনকে আসামি করে মেহেরপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। পুলিশ ধর্ষককে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে।
উল্লেখ্য, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে নাজমা ও সালমা নামের দুজন শিক্ষানবীশ নার্স রোগী দেখার নাম করে কৌশলে শহরের পৌর ঈদগাহপাড়ার বাড়ি থেকে ওই ছাত্রীকে বের করে শহরের একটি নার্সিং হোমের সামনে নেয়। এ সময় শহরের গোরস্থানপাড়ার বাবু ড্রাইভারের ছেলে আল আমিন নার্সিং হোমের সামনে থেকে মেয়েটিকে মোটরসাইকেলে তুলে শহরের মার্কাস মসজিদপাড়ার একটি আমবাগানে নিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। বুধবার এ ঘটনা জানাজানি হলে ঘটে বিপত্তি।