স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় গতকাল দুপুরের রোদ ছিলো বেশ কড়া। রোদ দেখে অনেকেই বলেন, গেলো- এবারের শীত চলে গেলো। সন্ধ্যার পর শীতের তীব্রতায় অবশ্য সেরকম ইঙ্গিত মেলেনি। তীব্র শীতের মাঝে গতকালও শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। জীবননগরে আরো একজন শীতজনিত কারণে মারা গেছে।
চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ ২২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন ১২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা টাঙ্গাইলে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ সিলেটে ২৭ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়।
জীবননগর ব্যুরো জানিয়েছে, জীবননগরে তীব্র শীতে আরো এক জনের মৃত্যু হয়েছে। উপজেলার হাসাদাহের মৃত আবুল খায়েরের স্ত্রী আনুয়ারা খাতুন (৭৫) গতকাল শুক্রবার ভোরে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এ নিয়ে চলতি শীত মরসুমের তৃতীয় দফার শৈত্যপ্রবাহে উপজেলায় ৪ জনের মৃত্যু হলো।
ঘন কুয়াশা ও শৈত্যপ্রবাহের কারণে উপজেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। গত ৫ দিনে সূর্যের দেখা মেলেনি। তীব্র শীতের মধ্যে সীমাহীন কষ্টে পড়েছে বৃদ্ধ, শিশু, দরিদ্র ও ছিন্নমূল অসহায় মানুষ। এছাড়াও শৈত্যপ্রবাহের কবলে পড়ে গবাদি পশু-পাখিও কাবু হয়ে পড়েছে। শীতের প্রকপে উপজেলায় মাথাব্যাধা, কোল্ড ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসনালীর প্রদাহ ও সর্দি-জ্বরসহ বিভিন্ন শীতজনিত রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। শীতের প্রকোপ থেকে হতদরিদ্র ও ছিন্নমূল মানুষকে রক্ষা করতে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে। এ উপজেলায় এবার ৬২০পিস শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজেদুর রহমান জানিয়েছেন।
দর্শনা অফিস জানিয়েছে, দর্শনা রেলবাজার আদর্শিক সমিতির উদ্যোগে অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে সমিতির রেলবাজারস্থ কার্যালয়ে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ করা হয়। সভাপতিত্ব করেন সমিতির সভাপতি হাজি হারুন অর রশিদ। উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, সাংবাদিক এফএ আলমগীর হোসেন, আক্তার খান শান্তি, আব্দুর রশিদ, আনোয়ার হোসেন রতন, খলিলুর রহমান, মখলেছুর রহমান, শাহ আলম , শাহাজান আলী প্রমুখ।