স্টাফ রিপোর্টার: উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে আজ শনিবার তিন মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠকে বসতে যাচ্ছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বিকাল তিনটায় শেরেবাংলা নগরে ইসি কার্যালয়ে এই বৈঠকে স্থানীয় সরকার সচিব, শিক্ষা সচিব এবং প্রাথমিক ও গণশিক্ষা সচিবকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আইনানুযায়ী আগামী ১৯ ফেব্রুয়ারির মধ্যে অন্তত ১২টি এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে প্রায় ১০০টির মতো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ওই সময়ে এসএসসি পরীক্ষা থাকায় তফসিল ঘোষণা নিয়ে বিপাকে পড়েছে ইসি।
ইসি সচিবালয় সূত্র জানিয়েছে, আগামীকাল রোববার কমিশন সভায় উপজেলা পরিষদের তফসিল নিয়ে সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে। তার আগে আজ সংশ্লিষ্ট তিন মন্ত্রণালয়ের সাথে আলাপ-আলোচনা করতে চায় কমিশন। সূত্র জানায়, রোববার কতোটি উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হবে বা আদৌ কোনো তফসিল ঘোষণা করা সম্ভব হবে কি-না তা এখনও নিশ্চিত নয়। তবে যেদিনই তফসিল ঘোষণা করা হোক একই সাথে একশর মতো উপজেলার তফসিল ঘোষণা করা হতে পারে। এসব উপজেলায় যদিও ভোট গ্রহণ করা হবে একাধিক দিনে। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ২২ মার্চ সারাদেশে একযোগে এসএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী প্রচারে পরীক্ষার্থীদের ব্যাঘাত ঘটার সম্ভাবনা ছাড়াও বেশিরভাগ পরীক্ষাকেন্দ্র ও ভোটকেন্দ্র একই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হওয়ায় বিপাকে পড়েছে কমিশন।
আইনানুযায়ী উপজেলা পরিষদের মেয়াদ শেষ হওয়ার ১৮০ দিন পূর্বে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে। উপজেলা পরিষদ গঠিত হওয়ার পর পরিষদের প্রথম বৈঠক থেকে এই সময় গণনা শুরু হবে। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি একযোগে সারাদেশে উপজেলা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিলো। গত বৃহস্পতিবারের বৈঠক শেষে এ বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার মো. আব্দুল মোবারক বলেন, রোববার তফসিল ঘোষণার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়নি। রোববারের বৈঠকের পরে বলা যাবে কবে এবং কতোটি উপজেলায় নির্বাচন করা সম্ভব হবে। কমিশনার আবু হাফিজ বলেন, আইন অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ে উপজেলা ভোট করতে চায় কমিশন। কিন্তু এসএসসি পরীক্ষা নিয়ে কমিশন কিছুটা বিপাকে পড়েছে। কমিশনের পরিকল্পনা অনুযায়ী দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে নিরাপত্তা ও বিভিন্ন কারণে একাধিক দিনে ভোট গ্রহণ করা হবে।
ইসি কর্মকর্তারা জানান, সাংবিধানিকভাবে স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচন করার দায়িত্ব ইসির নয়। তবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অনুরোধেই এ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। ইসি প্রস্তুত থাকলেও সবকিছুই স্থানীয় সরকারের সিদ্ধান্তের ওপর নির্ভর করছে। সারাদেশের ৪৮৭টি উপজেলার মধ্যে চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ১০০টি, মার্চে ২২৩টি, এপ্রিলে ৫০টি, মে মাসে ৮৫টি ও জুন মাসে ১৮টি উপজেলার মেয়াদোত্তীর্ণ হচ্ছে। বাকিগুলোর মেয়াদ শেষ হবে জুলাই থেকে সেপ্টেম্বরে।