মাথাভাঙ্গা মনিটর: শেষ দিনে লড়াইয়ের আভাস রেখে চতুর্থ দিন শেষ করেছিলো পাকিস্তান। কিন্তু গতকাল রোববার দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দাঁড়াতেই পারেনি স্বাগতিক দল। দ্বিতীয় টেস্ট সহজে ৯ উইকেটে জিতে তিন ম্যাচের সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেছে শ্রীলঙ্কা। টেস্ট ক্রিকেটে উইকেটের ব্যবধানে পাকিস্তানের বিপক্ষে এটাই শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় জয়। আগের বৃহত্তম জয় দুটো ছিলো ৮ উইকেটে, ১৯৮৬ ও ২০০২ সালে। এ নিয়ে সর্বশেষ ১১টি মুখোমুখি লড়াইয়ে চতুর্থ বার পাকিস্তানকে হারালো শ্রীলঙ্কা। আবুধাবিতে প্রথম টেস্ট ড্র হয়েছিলো। ১৬ জানুয়ারি থেকে শারজায় শুরু হবে তৃতীয় ও শেষ টেস্ট। শেষ দিনে শ্রীলঙ্কাকে জয়ের পথে এগিয়ে দিতে সবচেয়ে বড় অবদান সুরাঙ্গা লাকমলের। এ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলারের দুর্দান্ত বোলিঙে ৭ উইকেটে ৩৩০ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস ৩৫৯ রানে শেষ হয়ে যায়। তিনটি উইকেটই লাকমলের। চতুর্থ দিন শেষে ৭০ রানে অপরাজিত সরফরাজ আহমেদকে বোল্ড করে দিনের পঞ্চম ওভারেই লাকমল সাফল্য এনে দেন অতিথি দলকে। গতকাল রোববার পাকিস্তানের উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যানের অবদান মাত্র ৪ রান। সরফরাজ ফিরে যাওয়ার সময় স্কোর ৩৩৪/৮। ২০ রান যোগ হওয়ার পর রাহাত আলীকে কট বিহাইন্ড করেন লাকমল। দুবাই টেস্টে উইকেটরক্ষক প্রসন্ন জয়াবর্ধনের এটি নবম ক্যাচ। শ্রীলঙ্কার পক্ষে এক ম্যাচে সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেয়ার রেকর্ড স্পর্শ করেছেন তিনি। ১৯৮৫ সালে ভারতের বিপক্ষে অমল সিলভাও ৯টি ক্যাচ নিয়েছিলেন। ৭ রান নিয়ে দিন শুরু করা সাঈদ আজমলকে (২১) বোল্ড করে পাকিস্তানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ করে দেয়া লাকমল ৭৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে সফল বোলার।
জবাবে ১৩৭ রানের লক্ষ্যে পৌঁছুতে শ্রীলঙ্কার বিন্দুমাত্র সমস্যা হয়নি। কৌশল সিলভা ও দিমুথ করুনারত্নের ১২৪ রানের উদ্বোধনী জুটি সহজ জয়ের পথে এগিয়ে দেয় তাদের। ২০১১ সালের জুনের পর টেস্টে এটাই শ্রীলঙ্কার প্রথম শতরানের উদ্বোধনী জুটি। সিলভা ৫৮ রান করে আউট হয়ে গেলেও করুনারত্নে অপরাজিত থাকেন ৬২ রানে। ১২৯ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস খেলা মাহেলা জয়াবর্ধনের হাতে উঠেছে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ের পুরস্কার।