স্মারকলিপি পেশসহ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা
দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস দামুড়হুদা সদর থেকে দর্শনায় স্থানান্তরের প্রতিবাদে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সোনিয়া আফরিনের সাথে সাক্ষাত করেছেন এলাকার জনপ্রতিনিধি ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ। গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার নির্বাহী অফিসারের সাথে সাক্ষাত শেষে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় স্মারকলিপি পেশসহ মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে এলাকাবাসী। অপরদিকে দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান গতপরশু এ সংক্রান্ত প্রকাশিত সংবাদের প্রেক্ষিতে বক্তব্য উপস্থাপন করেছেন।
এলাকাবাসীর পক্ষে দামুড়হুদা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মনির, উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক আজিজুল হক, দামুড়হুদা পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ইসমাইল হোসেন, উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শহিদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক জামাল উদ্দিন, উপজেলা যুবলীগ আহ্বায়ক শফিউল কবির ইউসুফ, আওয়ামী লীগ নেতা আমজাদ হোসেন, সততা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক এম. নুরুন্নবী, থানা যুবদলের আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান বাচ্চু, সাংবাদিক হাবিবুর রহমান, শামসুজ্জোহা পলাশ, তাছির আহম্মেদ, যুবলীগকর্মী শরীফ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, এলাকার নেতৃবৃন্দরা আমার কাছে এসেছিলেন। আমিও তাদের সাথে একমত যে, পশু হাসপাতালটি দর্শনায় হলেও এলাকার বৃহত জনগোষ্ঠীর স্বার্থে প্রাণিসম্পদ অফিসটি দামুড়হুদায় থাকা উচিত।
এ দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের বাসা ঘেরাও করা হয়েছে এ খবর পাওয়া মাত্রই যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে দামুড়হুদা থানার এসআই ইব্রাহিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি চৌকস দল ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন।
অপরদিকে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় নিয়ে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন উপজেলা চেয়ারম্যান আজাদুল ইসলাম আজাদ। তিনি বলেছেন, সংবাদের কিছু অংশে তথ্য বিভ্রাট। খুলনা বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের যশোর অফিসের উপপরিচালক ডা. মৃনাল কান্তি মিত্র সাক্ষরিত চলতি বছরের ১০ এপ্রিল পত্রে জানানো হয় দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরটি উপজেলা পরিষদ এবং প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন কেন্দ্র (ইউএলডিসি) ১০ কিলোমিটার দূরে দর্শনা পৌরসভায় নিজস্ব ভবনে অবস্থিত। দামুড়হুদা থেকে দর্শনার বিএস পদটি দীর্ঘদিন যাবত শূন্য থাকায় ১০ কিলোমিটার দুরত্বে অবস্থিত দুটি দপ্তরের দায়িত্ব একজন কর্মকর্তার পক্ষে একই সাথে পালন করা সম্ভব নয়। এছাড়া দপ্তরটি দর্শনায় স্থানান্তর হলে একদিকে যেমন দর্শনা পৌরবাসী উপকৃত হবে, তেমনিভাবে উপজেলা পরিষদ কক্ষে একজন ভিএফএ এবং একজন এফএ (এআই) কর্মরত থাকায় উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের জনগণকে সেবা পেতে কোনো দুর্ভোগ পোহাতে হবে না। সর্বোপরি দামুড়হুদা উপজেলার ওই দপ্তরটি দর্শনাস্থ নিজস্ব ইউএলডিসি ভবনে স্থানান্তরের জন্য মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ে ১৭ জানুয়ারি ৪২ নং সিদ্ধান্ত প্রদান করেন। এমতাবস্তায় প্রসাশনিক মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে বৃহত্তর জনস্বার্থে দামুড়হুদা উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তরটি দর্শনাস্থ নিজস্ব ভবনে নেয়ার জন্য উপজেলা পরিষদের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করা হয়। সে মোতাবেক আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে মাসিকসভায় আলোচনা সূচির অন্তর্ভূক্তি ও উপস্থাপন করা প্রয়োজন বলে জানায়। সম্প্রতি ঈদের পূর্বে শেষ দিবসে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মহাদয় টেলিফোনে আমাকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বাসভবনের নিচতলায় অন্য অফিসের কার্যক্রম চলছে জেনে ৭ দিনের মধ্যে অফিস সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেন। তিনি জানান, অ্যারো মার্ক করা বাসভবনে অন্য কোনো দপ্তরের কার্যক্রম চলতে পারে না। এ সময় প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া ২৯ এপ্রিল দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের মাসিকসভায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তাকে রোস্টার করে উপজেলা পরিষদে এবং দর্শনা নিজস্ব অফিসে কাজ করার জন্য অনুরোধ জানিয়ে সিদ্ধান্ত গৃহিত হয়। আমার নির্দেশে নয় মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে প্রাণিসম্পদ কার্যালয় স্থানান্তর করা হয়েছে। তথ্য বিভ্রাট সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় আমাকে জনগণের কাছে প্রশ্নবৃদ্ধ করা হয়েছে।