স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনের পৃথক স্থানে নির্বাচনী সহিংসতায় আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৫ জন। এদের মধ্যে ৩ জনকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনভুক্ত জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়া প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে কয়েকজন ভোটার ভোট দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে নির্বাচন বর্জনকারী পক্ষ ভোট দেয়া ভোটারদের কটুক্তি করে। এ নিয়ে শুরু হয় বাগবিতণ্ডা। এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। আহত হয় ভোট বর্জনকারী পক্ষ তথা বিএনপি পক্ষের আন্দুলবাড়িয়া মণ্ডলপাড়ার মৃত ইসলমাইলের ছেলে মনোয়ার হোসেন (৩৬), তার ভাই জিয়াউর রহমান ও চাচাতো ভাই ছামাউল। অপরপক্ষ তথা ভোটে অংশ নেয়া পক্ষ জসিম ও তার পিতা রফিকুল ইসলাম এবং কামরুল ইসলাম আহত হন। এদেরকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। মনোয়ার হোসেন, জসিম ও রফিকুল ইসলামকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রেখে বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে বাড়ি ফেরার পরামর্শ দেয়া হয়।
এদিকে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনভুক্ত চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া ইউনিয়নের হুচুকপাড়ার রংমিস্ত্রি শামসুল প্রতিপক্ষের সাথে ভোট দেয়া নিয়ে বিরোধে জড়িয়ে পিটুনির শিকার হয়েছে। তাকেও হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। গতকাল বিকেল তিনটার দিকে ভালাইপুর থেকে কয়েকজন ভোটারকে সাথে নিয়ে ভোটকেন্দ্রের দিকে যাওয়ার পথে মারপিটের শিকার হয় মৃত রমজানের ছেলে শামসুল। তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। শামসুল তার গ্রামের লতিফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেছেন, ওরা ভোট দিতে যাওয়ার পথে বাধা দিলে বিরোধের সূত্রপাত ঘটে। শামসুল এ অভিযোগ করলেও অভিযুক্ত লতিফের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি, যেমন তেমনই প্রকৃত ঘটনা সম্পর্কেও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।