মাথাভাঙ্গা মনিটর: দক্ষিণ সুদানের প্রেসিডেন্ট সিলভা কির দেশটির দুটি রাজ্য ইউনিটি ও জংলিতে গত বুধবার জরুরি অবস্থা জারি করেছেন। দু সপ্তা ধরে সরকারি বাহিনীর সাথে বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষ দেশটিকে গৃহযুদ্ধের দিকে ঠেলে দিয়েছে। এ সংঘর্ষের সমাপ্তির জন্য সরকারি মধ্যস্থতাকরীরা বিদ্রোহীদের সাথে শান্তি আলোচনার প্রস্তুতি নিয়েছে। ইউনিটি ও জংলি রাজ্য দুটির রাজধানী বর্তমানে সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট রিক মাচার অনুগত বিদ্রোহী বাহিনীর নিয়ন্ত্রণে। গত বুধবার বিকেলেও প্রেসিডেন্ট ভবনের কাছে গোলাগুলির আওয়াজ পাওয়া যায়। প্রেসিডেন্টের মুখপাত্র জানান, খুব সম্ভবত এলাকাবাসী জরুরি অবস্থা ভেঙে রাস্তায় বের হলে নিরাপত্তা বাহিনী গুলি চালায়। বিশ্বের নবীনতম এ দেশটিতে গত দু সপ্তার সংঘর্ষে এক হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে, ঘরছাড়া হয়েছে প্রায় দু লাখ মানুষ। রক্তক্ষয়ী এ সংঘর্ষ বন্ধ করতে আফ্রিকার আঞ্চলিক শক্তি ও পশ্চিমাবিশ্ব উভয়পক্ষকে প্রবল চাপ দিচ্ছে। এদিকে বল প্রয়োগের মাধ্যমে কোনো দল দেশটির ক্ষমতায় গেলে তাদের সমর্থন করা হবে না বলে স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য বিদ্রোহীপক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা এরই মধ্যে ইথিওপিয়ার রাজধানী আদ্দিস আবাবাতে পৌঁছে গেছেন। কিন্তু সরকারপক্ষের মধ্যস্থতাকারীরা এখনও পর্যন্ত সেখানে যাননি। উভয়পক্ষ যুদ্ধবিরতিকে মূল লক্ষ্য মেনে নিয়ে আলোচনায় বসতে রাজি হয়েছে। অবশ্য কবে নাগাদ যুদ্ধ বন্ধ হতে পারে সে ব্যাপারে কেউই কোনো ইঙ্গিত দেননি।