স্টাফ রিপোর্টার: বিট লবণ ভেবে গমক্ষেতের পাখি মারার দানাদার কীটনাশক বেটে আমড়া দিয়ে খেয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী তাজমিরা। সে দামুড়হুদার কলাবাড়ি সেন্টারপাড়ার আশাদুল হকের মেয়ে। তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।
আজমিরার শয্যাপাশে থাকা লোকজন ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, ওর পিতা আশাদুল হক একজন চাষি। শানির সাথে মিশিয়ে গরুকে খাওয়ানোর জন্য আশাদুল হক সম্প্রতি বিট লবণ কেনেন। তা ঝালের সাথে বেটে আজমিরা আমড়া খেয়েছে। গতপরশু আশাদুল পাখির উৎপাত ঠেকাতে দানাদার কীটনাশক কেনে। দেখতে বিট লবণের মতো হওয়ায় আজমিরা ওই দানাদার কীটনাশক ঝালের সাথে মাখিয়ে মজায় মজায় আমড়া খায়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে আমড়া খাওয়ার পর ক্রমশ অসুস্থ হয়ে পড়ে। বেলা ১২টার দিকে আজমিরার অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে পড়লে তাকে উদ্ধার করে নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। ভর্তি করিয়ে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে। পাকস্থলি থেকে কীটনাশক অপসারনের পর আজমিরার শারীরিক অবস্থার উন্নতি ঘটে। গতরাতে সে আশঙ্কামুক্ত হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, ইঁদুর ও উঁকুন মারার বিষ শিশুদের নাগালের মধ্যে রাখার কারণে বেশ কয়েক শিশু যেমন মৃত্যুঝুঁকির মধ্যে পড়ে। একাধিক শিশুর প্রাণহানিও হয়েছে। এরপরও বাড়ির বড়রা সতর্ক না হওয়ার কারণে মাঝে মাঝেই ঘটছে বিপত্তি। প্রতিকারে প্রয়োজন সচেতনতা। এলাকার সচেতনমহল এরকমই মন্তব্য করে সকলকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।