অনলাইন সংস্করণ: করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সাধারণ ছুটির দিনগুলোতে সীমিত আকারে ব্যাংকিং সেবা চালু রাখার সিদ্ধান্ত রোববার থেকে কার্যকর হবে। চলবে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত। এই সময়ে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ব্যাংকিং লেনদেন চলবে। এরপর লেনদেন সমন্বয় করার জন্য ব্যাংক দেড়টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। ওই সময়ের মধ্যে ব্যাংকগুলোতে নগদ জমা, নগদ উত্তোলন ও বৈদেশিক মুদ্রা লেনদেনের পাশাপাশি ডিমান্ড ড্রাফট (ডিডি), পে-অর্ডার ইস্যু করতে পারবে। এছাড়া একই ব্যাংকের একই শাখায় থাকা বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর করা যাবে। লকডাউনের মধ্যে গ্রাহকদের জন্য ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে ব্যাংকের সব শাখা খোলা রাখা হবে না। সীমিত আকারে দূরত্ব বিবেচনা করে ব্যাংকগুলো সীমিত আকারে শাখা খোলা রাখবে। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদান, টাকা স্থানান্তর, ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ড অব্যাহত রাখার সুবিধার্থে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। করোনাভাইরাসের বিস্তার প্রতিরোধে ২৬ মার্চ থেকে টানা ১০ দিনের লকডাউন শুরু হয়েছে। এর মধ্যে আজ রোববার থেকে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত সীমিত আকারে ২ ঘণ্টা ব্যাংক খোলা থাকবে।
তবে সার্বক্ষণিকভাবে ব্যাংকের এটিএম বুথগুলো খোলা থাকবে। এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নগদ টাকা সরবরাহ রাখার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। এছাড়া গ্রাহকরা কেন্দ্রীয় ব্যাংকের অনুমোদিত বিভিন্ন অ্যাপসের মাধ্যমে লেনদেন বা কেনাকাটা করতে পারবেন। চালু থাকবে মোবাইল ব্যাংকিং সেবাগুলোও। অনলাইন লেনদেন চালু রাখার সুবিধার্থে ন্যাশনাল পেমেন্ট সুইচ বাংলাদেশ (এনপিএসবি) ছুটিকালীন সার্বক্ষণিক চালু থাকবে। এর মধ্যে যেসব লেনদেন হবে সেগুলোর অর্থ দেনা-পাওনার হিসাব সম্পন্ন হবে ছুটির পরের প্রথম কার্যদিবসে। এর ফলে গ্রাহকদের অনলাইনে ব্যাংকিং লেনদেনে কোনো সমস্যা হবে না। সার্বক্ষণিক অনলাইনে লেনদেন করা যাবে। সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতন-ভাতা প্রদানসহ বিভিন্ন ধরনের লেনদেন বাংলাদেশ ইলেকট্রনিক ফান্ড ট্রান্সফার নেটওয়ার্কের (বিইএফটিএন) মাধ্যমে সম্পন্ন হয়। এসব লেনদেন সম্পন্ন করার জন্য ১ ও ২ এপ্রিল বিইএফটিএন প্লাটফমঅটি খোলা থাকবে। তবে ছুটিকালীন বাংলাদেশ অটোমেটেড চেক প্রসেসিং সিস্টেমস (বিএসিপিএস) ও রিয়েল টাইম গ্রস সেটেলমেন্টের (আরটিজিএস) কার্যক্রম বন্ধ থাকবে। এর ফলে ওই সময়ে চেকের মাধ্যমে আন্তঃব্যাংক ব্যাংক বা আন্তঃশাখা কোনো লেনদেন করা যাবে না। তবে চেক দিয়ে একই শাখা থেকে টাকা তোলা ও জমা দেয়া যাবে। করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে ২৬ মার্চ থেকে ৪ এপ্রিল পর্যন্ত ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।