দামুড়হুদা ব্যুরো: ভাগ্যের চাকা ঘোরাতে প্রায় বছর পাঁচেক আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় পাড়ি জমান দামুড়হুদার যুবক তুহিন। কিন্তু শেষশেষ তার ফেরা হলো না আপন ঠিকানায়। সন্ত্রাসীরা তাকে গুলি করে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে তাকে গুলি করে হত্যার পর দোকান লুট করে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। নিহত যুবক তুহিনের মেজভাই চপল এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেছেন, প্রায় ৫ বছর আগে আফ্রিকায় যায় তুহিন। সে ওখানে একটি মুদিদোকানে কাজ করতো। গতকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী দোকানে ঢুকে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে তাকে হত্যা করে। তাকে হত্যার পর সন্ত্রাসীরা দোকান লুট করে পালিয়ে যায়। এ সময় মালিক দোকানে না থাকায় প্রাণে বেঁচে যান। বর্তমান পরিস্থিতিতে লাশ দেশে আনা সম্ভব নয়। ফলে লাশ আজ বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টার দিকে ওখানেই দাফন করা হবে বলেও জানান তিনি। এক সন্তানের জনক নিহত যুবক তুহিন ছিলেন ৪ ভাই ও ২ বোনের মধ্যে ছোট। এদিকে যুবক তুহিনের মৃত্যুর খবর নিজবাড়িতে পৌঁছুলে কান্নায় ভেঙে পড়েন স্ত্রী রিমা খাতুন ও একমাত্র সন্তান হুজাইফা হাসানসহ পরিবারের লোকজন। স্ত্রী-স্বজনদের কান্না আর আহাজারিতে এলাকার বাতাস ভারি হয়ে ওঠে।
উল্লেখ্য, চুয়াডাঙ্গা জেলার জীবননগর উপজেলার কেডিকে ইউনিয়নের কাশিপুর গ্রামের মৃত সোলায়মান হোসেনের ৩ ছেলে প্রায় বছর বিশেক আগে দামুড়হুদায় চলে আসেন। বড় ভাই সানাউল করিম চাকরির সুবাদে ঢাকায় থাকেন। মেজভাই চপল দামুড়হুদায় ফুড অফিসে চাকরি করেন। সেজভাই সাদ আহমেদ ও ছোট ভাই নিহত তুহিন দামুড়হুদায় স্যানেটারি ব্যবসা দেখাশুনা করতো।