নিজের নামে জমি লিখে না দেয়ায় জামাই ক্ষুব্ধ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় স্ত্রীকে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। নিজের নামে শ্বশুর জমি ও বাড়ি লিখে না দেয়ার কারণে স্ত্রী ইয়াসমিন আরা শাপলাকে হত্যার পর স্বামী রাজু আহমেদ গা ঢাকা দিয়েছেন। নিহত ইয়াসমিন আরা শাপলা (৩২) চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শৈলগাড়ী গ্রামের রাজু আহমেদের স্ত্রী ও একই উপজেলার জাফরপুর গ্রামের আনিছুজ্জামানের মেয়ে।
পুলিশ ও এলাকাসূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৬ বছর আগে ইয়াসমিন আরা শাপলার সঙ্গে রাজু আহমেদের বিয়ে হয়। মাস তিনেক আগে শাপলার নামে জেলা শহরের পার্শ্ববর্তী নুরনগর এলাকায় তিন কাঠা জমি কিনে দেন শাপলার পিতা আনিছুজ্জামান। এতে ক্ষুব্ধ হন স্বামী রাজু আহমেদ। তার দাবি জমি তার নিজের নামে লিখে দিতে হবে। এ নিয়ে ওই সময় স্ত্রী শাপলাকে মারধর করেন রাজু। তিনদিন হাসপাতালে ভর্তিও ছিলেন শাপলা। এরই মধ্যে শাপলার নামে লিখে দেয়া জমিতে একটি বাড়ি নির্মাণ করে দিচ্ছেন শাপলার পিতা। কিন্তু রাজু দাবি করেন তার নিজের নামে জমি ও বাড়ি লিখে দেয়ার জন্য। এ নিয়ে গতকাল শুক্রবার ভোররাতে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে দরজার ভেতরে শাপলার হাত চেপটে দেন স্বামী রাজু। ভোর ৪টার দিকে শাপলাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়। এসময় তাকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যান রাজু। পরে সকাল সাড়ে ৫টায় পুনরায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডা. মশিউর রহমান মৃত বলে ঘোষণা করেন শাপলাকে। শাপলার পিতা আনিছুজ্জামান অভিযোগ করেন, ‘জামাই রাজুর নামে জমি লিখে দিইনি বলে সে আমার মেয়ে শাপলার ওপর চরম নির্যাতন করতো। এক পর্যায়ে তাকে গলাটিপে হত্যা করেছে। পরে সে হাসপাতালে শাপলার লাশ ফেলে রেখে সটকে পড়েছে।’
এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ওসি আবু জিহাদ খাঁন বলেন, ‘আমরা শাপলার লাশ উদ্ধার করে সকালে মর্গে পাঠাই। সেখানে তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। প্রাথমিকভাবে একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে থানায়। তদন্ত চলছে। হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হলে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।’