জীবননগর ব্যুরো: গঠিত আহ্বায়ক কমিটি নিয়ে দলের দুটি গ্রুপের মধ্যে সৃষ্ট বিরোধের জের ধরে পৌর যুবদলের ১নং যুগ্ম-আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেনকে (৩৮) পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার বিকেলে পৌর যুবদলের পদবঞ্চিত বিক্ষুব্ধ গ্রুপ এ ঘটনা ঘটায় বলে অভিযোগ। এ নিয়ে দুটি গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
আহত যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেন জানান, অতি সম্প্রতি জীবননগর উপজেলা ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ কমিটিতে পদবঞ্চিত হয়েছে সাবেক পৌর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক শামসুজ্জামান ডাবলু। অপরদিকে উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক পদ পেয়েছেন সীমান্ত ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন ও পৌর যুবদলের আহ্বায়ক নির্বাচিত হয়েছেন পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী। এনিয়ে গত কিছুদিন ধরে মঈন ও ডাবলু গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিলো। এ বিরোধের জের ধরে গতকাল বিকেলে শামসুজ্জামান ডাবলুর নেতৃত্বে তার ওপর হামলা চালানো হয়। ইকতা, শামীম ও সাইদুর এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তার সঙ্গে ছিলো। হামলাকারীরা ছাত্তার মিয়ার তেল মিলের সামনে তাকে আটক করে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এলাকার লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করে। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চিকিৎসক যশোর হাসপাতালে রেফার করেন। সদ্য ঘোষিত যুবদলের উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন সাংবাদিকদের জানান, উপজেলা কিংবা পৌর কমিটিতে ডাবলু, কামরুল ও কাশেম গ্রুপের লোকজন পছন্দের ন্যায় পদ না পাওয়ায় মরিয়া হয়ে উঠেছেন। তার জের ধরে যুবদল নেতা আনোয়ার হোসেনের ওপর এ হামলা করা হয়েছে। তার অবস্থা ভালো না। এ ব্যাপারে বিএনপি নেতা শামসুজ্জামান ডাবলু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, এ ব্যাপারে আমি কিছুই জানি না। রাজনৈতিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হচ্ছে। জীবননগর থানা অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আহত যুবদল নেতার স্বজনের একটি অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্তপূর্বক জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা করা হবে বলে জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।