চুয়াডাঙ্গার ডিঙ্গেদহে মুজিববর্ষে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নে শ্রেষ্ঠ পর্যায়ে পুরস্কার বিতরণ

ডিঙ্গেদহ প্রতিনিধি: জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্ন ছিলো সুখী ও সমৃদ্ধশালী সোনার বাংলা গড়ার। ঘাতকরা সপরিবারে হত্যা করে সেই স্বপ্নকে পূরণ হতে দেয়নি। বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পিতার স্বপ্ন পূরণের জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশকে ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত করতে হলে স্থায়ীত্বশীল উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে করতে হবে। আর এ কাজের প্রধান বাধা বাল্যবিয়ে ও মাদক। মুজিববর্ষে বাল্যবিয়েকে সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা হবে। এজন্য প্রশাসন যা যা করার দরকার তাই করবে। দেশের জনগোষ্ঠীর অর্ধেক নারী। তাই নারীদের কাজে না লাগালে দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। আমাদের দেশে অভিভাবকগণ মেয়েদের বোঝা মনে করে অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয়। বাল্যবিয়ের কারণে নারী নির্যাতন, তালাক, বহু বিয়ে, যৌতুক ও আত্মহত্যা বৃদ্ধি পায়। আমরা যেমন ছেলেদের সম্পদ মনে করি, সুযোগ দিলে মেয়েরাও সম্পদে পরিণত হবে। ক্ষমতা ও অধিকার কেউ দিয়ে দেয় না। নারীদের যোগ্যতা অর্জন করে ক্ষমতা ও অধিকার আদায় করে নিতে হবে। গতকাল রোববার বিকেল সাড়ে ৪টার সময় শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী তথা মুজিববর্ষে পরিচ্ছন্ন গ্রাম পরিচ্ছন্ন শহর কার্যক্রম বাস্তবায়নে শ্রেষ্ঠ পর্যায়ে পুরস্কার বিতরন, বাল্যবিয়ে ও মাদক প্রতিরোধে মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার এ কথাগুলো বলেন। এ সময় তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা সীমান্তবর্তী জেলা। মাদকের পরিবার, সমাজ ও দেশের ভবিষ্যত কর্ণধর যুব সমাজকে ধ্বংস করছে। কোথাও কেউ মাদক বিক্রি করলে এবং মাদকের আখড়া বসলে প্রশাসনকে খবর দিতে দেবেন। সংবাদদাতার নাম পরিচয় গোপন রাখা হবে। মাদক প্রতিরোধে আমরা বদ্ধপরিকর। নিজের সন্তানেরা কোথায় যায় কি করে সবসময় খোঁজ রাখতে হবে। ছেলে-মেয়েদের লেখাপড়ার পাশাপাশি নৈতিক শিক্ষা দিতে হবে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকলে নিজের মন, শরীর ভালো থাকে। অপরিষ্কার, ময়লা আবর্জনা পরিবেশ দূষণ করে। বাড়ির আশেপাশে অপরিষ্কার রাখলে বর্ষার সময় ডেঙ্গুর মতো মারাত্মক রোগে ছড়ায়। এজন্য নিজের প্রয়োজনে বাড়ির আশপাশে পরিষ্কার রাখতে হবে। করোনা ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হবার কোনো কারণ নেই। একটু সতর্ক থাকলে এ রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। শঙ্করচন্দ্র ইউপি চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রহমানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা অফিসার আব্দুল হান্নান, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদত হোসেন। ইউপি সচিব ফয়জুর রহমানের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ও উদীচীর সাইফুল ইসলামের উপস্থাপনায় আরও উপস্থিত ছিলেন শঙ্করচন্দ্র প্যানেল চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদ, মাখালডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি বিশ্বজিত শাহা, সেক্রেটারি রফিকুল ইসলাম, শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি নিলুয়ার হোসেন। শেষে গ্রাম পরিচ্ছন্ন কার্যক্রমে শ্রেষ্ঠ হওয়ায় শওকত মাহমুদ, লান্টু, ঠা-ুকে, শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় ডিঙ্গেদহ বালিকা বিদ্যালয়, শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন বাজার ডিঙ্গেদহ বাজার কমিটি, ডিঙ্গেদহ উদীচী শিল্পগোষ্ঠী, শ্রেষ্ঠ পরিচ্ছন্ন শিশু হিসেবে সাইফুলের ছেলে এনায়েতের হাতে ক্রেস্ট তুলে দেন। এর আগে শঙ্করচন্দ্র দোয়ারপাড়া গ্রাম শহরের পাঠাগার ও শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নে বাল্যবিয়ে প্রতিরোধে অভিযোগ বক্সের উদ্বোধন করা হয়।