সকল ক্লিনিক মনিটরিং করবে উপজেলা প্রশাসন
আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে সিজারের পর রেফার্ড করা রোগী মারা যাওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে সংশ্লিষ্ট দফতরের পদক্ষেপ। প্রাথমিক তদন্তে গিয়ে ইউনাইটেড ক্লিনিক সাময়িক বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে। এখন থেকে উপজেলার সকল ক্লিনিকে কঠোর মনিটরিংয়ের ঘোষণা দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
জানা গেছে, কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর উপজেলার মালিহাদ রায়পাড়ার রহিদুল ইসলামের স্ত্রী ফাতেমা খাতুনের প্রসব বেদনা উঠলে গত ৫ মার্চ সন্ধ্যায় আলমডাঙ্গা শহরের ইউনাইটেড ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। রাতেই সিজার করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ। সিজারের পর রোগীর অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়। গভীর রাতে মাইক্রোবাসযোগে রোগীকে কুষ্টিয়ার জেনারেল হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত ডাক্তার রোগীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।
এদিকে, এ ঘটনায় রোগীর আত্মীয়স্বজন মৃত ফাতেমাকে ফিরিয়ে নিয়ে যান ইউনাইটেড ক্লিনিকের সামনে। দাবি করেন ভুল চিকিৎসায় রোগী ফাতেমার মৃত্যু হয়েছে। পরদিন বিভিন্ন স্থানীয় পত্রিকায় এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকেও সমানে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।
এরই মধ্যে গতকাল সিভিল সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডাক্তার এহসানুল হক তন্ময় আলমডাঙ্গার ইউনাইটেড ক্লিনিকে প্রাথমিক তদন্ত করেছেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা অফিসার হাদী জিয়াউদ্দীন আহমেদ সাঈদ। তিনি জানান, পরিদর্শনকালে সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ক্লিনিকটি সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এদিকে, সিভিল সার্জনের পক্ষ থেকে ইউনাইটেট ক্লিনিক সাময়িকভাবে বন্ধ করে দেয়ার ঘটনায় সন্তোষ প্রকাশ করেছে আলমডাঙ্গাবাসী।
আলমডাঙ্গার প্রায় সকল ক্লিনিকই আইন উপেক্ষা করে অবৈধভাবে ব্যবসা করে চলেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, প্রায় ১ ডজন ক্লিনিকের মধ্যে শুধুমাত্র একটি/দুটি ক্লিনিকে রয়েছে পাস করা নার্স ও সার্বক্ষণিক এমবিবিএস ডাক্তার। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা এ সকল ক্লিনিকগুলো জন্ম থেকেই অবৈধভাবে চলছে। জন্মই আজন্ম পাপ নিয়ে। এবার আলমডাঙ্গার এসব ক্লিনিক মনিটরিঙয়ের ঘোষণা দিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার লিটন আলী।