জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা ও পৌর যুবদলের ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিল করে ত্যাগী ও প্রকৃতদের নিয়ে নতুন কমিটি গঠনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জীবননগর প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ দাবি করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদল কর্তৃক ঘোষিত আহ্বায়ক কমিটি প্রত্যাখান করে বলা হয়েছে, ঘোষিত উপজেলা কমিটির আহ্বায়ক সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত একজন মাদকব্যবসায়ী ও পৌর যুবদলের নবগঠিত কমিটির আহ্বায়ক পৌর কাউন্সিলর হযরত আলী বিএনপির একজন নেতা। এ কমিটি গঠনে নেপথ্যে থেকে কাজ করেছে এমন অভিযোগ তুলে উপজেলা বিএনপির নেতা আনোয়ার হোসেন খান খোকনকে অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ঘোষিত পকেট কমিটি বাতিল করা না হলে আন্দোলনের হুমকি দেয়া হয়।
ঘোষিত কমিটির জীবননগর উপজেলা যুবদলের ১নং যুগ্মআহ্বায়ক কামরুল ইসলাম সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবদলের সভাপতি শরিফুজ্জামান সিজার ও সাধারণ সম্পাদক সাইফুর রশিদ ঝন্টু স্বাক্ষরিত ২১ ফেব্রুয়ারি জীবননগর উপজেলা ও পৌর যুবদলের কমিটি ঘোষণা করেন। যা গতকাল সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক হতে আমরা অবগত হয়। এ কমিটিতে পকেট কমিটি আখ্যায়িত করে বলা হয় উপজেলা কমিটিতে বিতর্কিত ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভূক্ত একজন মাদকব্যাবসায়ী সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান মঈন উদ্দিন ময়েন আহ্বায়ক করা হয়েছে। উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ময়েন উদ্দীন স্থানীয় বিএনপি নেতা আনোয়ার হোসেন খান খোকনের আর্শীবাদপুষ্ট হওয়ায় মাদক মামলার আসামি হয়েও তাকে কমিটিতে সর্বোচ্চ পদ দেয়া হয়েছে। একই সাথে পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করলেও কিভাবে কাউন্সিলর হযরত আলীকে পৌর যুবদলের আহ্বায়ক করা হয়েছে তা আমাদের বোধগম্য নয়। অভিযোগে জানান, ঘোষিত কমিটিগুলোর আহ্বায়করা আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে যুবদলের হামলা মামলার শিকার ত্যাগী নেতাকর্মীদের কমিটিতে স্থান না দেয়ায় সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এসময় উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল ইসলাম, যুগ্মআহ্বায়ক সিরাজুল ইসলাম, জাকির হোসেন শামীম, ইদবারী, আবু শামা টোকন, বাবু ও পৌর যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মনির হোসেন, আব্দুল আলীম, আজমত, হাসানুজ্জামান এবং যুগ্ম আহ্বায়ক বকুল সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। এদিকে আনোয়ার হোসেন খান খোকন বলেন, কেন্দ্রের গাইড লাইন অনুযায়ী জেলা যুবদল এ কমিটি করেছে। এ কমিটি গঠনে আমার কোনো ভূমিকা নেই। একটি মহল ফয়দা লুটতে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ উত্থাপন করেছে।