স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মধ্যে ১ হাজার ৬৮৫ মিটার পাকা রাস্তাকরণ কাজে ব্যাপক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গ্রামবাসী প্রতিবাদ করলেও ঠিকাদার এবং দায়িত্বরত কর্মকর্তারা কোনোই কর্ণপাত করেননি। সদ্য নির্মিত কাজ কতো দিন টেকসই হবে এ নিয়ে জনমনে দেখা দিয়েছে প্রশ্ন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, চুয়াডাঙ্গার জনৈক একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর ইউনিয়নের আকন্দবাড়িয়া গ্রামের মধ্যে ১ হাজার ৬৮৫ মিটার পাকা রাস্তাকরণের কাজ পায়। কাজের শুরুতেই নি¤œমানের ইটের খোয়া এবং নি¤œমানের বালু ব্যবহার করে ডাব্লিবিএম’র কাজ করেন। পরে নামকাওয়াস্তে বিটুমিনের নামে পোড়া মবিল এবং পিচের পরিমাণ কম দিয়ে কাজ করতে গেলে গ্রামবাসী তাতে বাঁধা সৃষ্টি করে প্রতিবাদ জানায়। যখন প্রতিবাদ জানায় তখন ঠিকাদার এবং এলজিইউডি’র লোকজন উপস্থিত ছিলো। প্রতিবাদিরা জানান, এ রাস্তায় যে ইটের খোয়া ব্যবহার করা হয়েছে এতো নি¤œমানের খোয়া আর কোথাও ব্যবহার হয়নি। সেই সাথে বিটুমিনের নামে পোড়া মবিল ব্যবহার করেছে। এছাড়াও ডাব্লিবিএম কাজ পরিষ্কার না করে কাঁদা মাটির ওপর দিয়ে পিচের কাজ করেছে। শুধু তাই না কেউ না থাকার সুযোগে রাতের আঁধারে পিচের কাজ করেছে। গ্রামবাসী সে কাজে বাঁধা দিলে তাতে ঠিকাদার কোনো কর্ণপাতই করেনি। আমাদের দাবি জনগণের টাকায় পাকারাস্তা হচ্ছে অথচ ঠিকাদার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের মেনেজ করে দুর্নীতি করবে তা মেনে নেয়া যায় না। আর তথ্য গোপন রাখার অর্থই হচ্ছে পুকুর চুরি। তাই কাজের মান নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠতেই পারে। এ ব্যাপারে বেগমপুর ইউনিয়ন আ.লীগের সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির আহ্বায়ক জামাল উদ্দিন বলেন, কাজে অনিয়ম হচ্ছে দেখে আমিসহ গ্রামবাসী প্রতিবাদ জানায়। তাতে ঠিকাদার বা তদারকি কর্মকর্তারা কোনোই কর্ণপাত করেনি। এ ব্যাপারে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা এলজিইইড’র প্রকৌশলীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এমন অভিযোগ আকন্দবাড়িয়া গ্রাম থেকে এসেছে খতিয়ে দেখা হবে। প্রকৃতপক্ষে কতো মিটার কাজ এবং কতে াটাকা বরাদ্ধ তা জানতে চাইলে তিনি তা পাশ কাটিয়ে যান। এ বিষয়ে ঠিকাদারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা সম্ভব হয়নি।