মানবিক কারণে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দিন: ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার: সরকারের অন্য কোনো রাজনীতি না করে মানবিক কারণেই খালেদা জিয়ার মুক্তি জরুরি বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল শুক্রবার বিকেলে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের একথা জানান ফখরুল। এর আগে গুলশান কার্যালয়ে খালেদা জিয়ার মামলা নিয়ে সিনিয়র আইনজীবীদের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে টেলিফোন আলাপে কী কথা হয়েছে- জানতে চাইলে বিএনপি মহাসচিব বলেন, উনি (ওবায়দুল কাদের) কী বলেছেন এটা উনাকে জিজ্ঞাসা করলে, উনাকে বললে বেটার হবে। এখন প্রশ্ন একটাই যে, দেশনেত্রীকে এই মুহূর্তে তার শরীরের যে অবস্থা, গুরুতর অবনতি হয়েছে তার ট্রিটমেন্টের জন্য তাকে বাইরে বিদেশে পাঠানোর জন্য তার পরিবার থেকেই আবেদন জানানো হয়েছে। সরকারের এখন আর এগুলো নিয়ে বা অন্য কারও এগুলো নিয়ে রাজনীতি না করে সম্পূর্ণ মানবিক কারণে তাকে মুক্তি দেয়াটা অত্যন্ত জরুরি বলে আমি মনে করি।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের কথা পরিষ্কার, ম্যাডামের মুক্তির দাবিটা নিয়ে আমরা আজকে নয়, গত ২ বছর ধরেই আমরা কোর্টে যাচ্ছি। কথা বলছি, রাস্তায় নামছি, চিৎকার করছি। সারা দেশবাসী এই মুহূর্তে ম্যাডামের মুক্তির দাবি করছে। একই সঙ্গে আজকে তার (খালেদা জিয়া) পরিবারও করছে। কয়েকদিন আগেই তারা (পরিবার) লিখিতভাবে বিএসএমএমইউর ভাইস চ্যান্সেলরকে তার (খালেদা জিয়া) এডভান্স ট্রিটমেন্টের জন্য তারা চিঠি দিয়েছেন। আর বাকি প্রশ্নগুলো সব অবান্তর থাকে, এগুলো আর প্রশ্ন থাকে না। তিনি জানান, চেয়ারপারসনের আইনজীবীদের সঙ্গে তার মামলার বিষয় নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।
বৈঠকে মির্জা ফখরুল ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমিরউদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।
এছাড়া খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের মধ্যে ছিলেন অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমান, ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। বৈঠকে লন্ডন থেকে স্কাইপেতে যুক্ত ছিলেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ও জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ১৭ বছরের কারাদ- নিয়ে বন্দি আছেন খালেদা জিয়া। ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি দ-িত হওয়ার পর তাকে নেয়া হয়েছিলো পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারে। কয়েক দফায় সেখান থেকে এনে তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। সর্বশেষ গত বছর ১ এপ্রিল খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউতে ভর্তি করা হয়। এরপর থেকে সেখানেই চিকিৎসাধীন আছেন তিনি।