১৯ আতশবাজিতে বরণ বিশ্বজয়ীদের
স্টাফ রিপোর্টার: দেশের ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ জয় করেছে অনূর্ধ্ব-১৯ দল। বিশ্বকাপ জয়ের পরেই প্রশ্ন উঠেছে, এই ক্রিকেটারদের নিয়ে এখন কী করবে বিসিবি? তাদেরকে জাতীয় দলের জন্য তৈরি করতে কোন পথে হাঁটবে? ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছিলেন, দেশের ক্রিকেটের স্বার্থেই এদের পরিচর্যা করতে হবে। সুন্দর পরিকল্পনা থাকতে হবে। টিম স্পিরিট নষ্ট করে ছেড়ে দেয়া যাবে না। বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও (বিসিবি) ক্রিকেট বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একমত হয়ে একটি পরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে। মিরপুর শের-ই-বাংলায় বিশ্বকাজয়ী ক্রিকেটারদের বরণ শেষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিসিবি সভাপতি বলেন, ‘এই দলটিকে সম্পূর্ণ ইনট্যাক্ট রাখা হবে অনুর্ধ্ব-২১ দল হিসেবে। তাদের জন্য ভিন্ন ভিন্ন কোচিং স্টাফ এবং সর্বোচ্চ প্র্যাকটিস ফ্যাসিলিটি নিশ্চিত করা হবে। যত রকমের সর্বোচ্চ সুযোগ সুবিধা দেয়া যায় তার সবই দেয়া হবে। আগামী ২ বছর একসঙ্গে রেখে ট্রেনিং দেয়া হবে এবং এই পরবর্তী ২ বছর, প্রতিটি ক্রিকেটারকে মাসে এক লক্ষ টাকা করে পারিশ্রমিক দেয়া হবে। ২ বছর পর পারফরম্যান্স বিবেচনা করে নতুন সিদ্ধান্ত দেয়া হবে।’
উল্লেখ্য, আজ বিকালে দেশের মাটিতে প্রত্যাবর্তন ঘটেছে বিশ্বকাপজয়ী বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের। বিকাল ৪টা ৫৫ মিনিটে বিশ্বজয়ী বাংলাদেশ দলকে বহন করা বিমানটি ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এসে অবতরণ করে। তাদের বরণ করে নিতে আগে থেকেই বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন সরকারের মন্ত্রী বিসিবির কর্মকর্তাবৃন্দ, এবং বিপুল সংখ্যক সাংবাদিক। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি মিরপুর শের-ই-বাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে নেয়া হয় ক্রিকেটারদের। সেখানেও বিপুল সংখ্যক ক্রিকেটপ্রেমী তাদের বরণ করে নেয়। শিরোপা নিয়ে বীরের বেশে দেশে ফিরেছেন বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটাররা। মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে তাদের দেয়া হয়েছে লাল গালিচা সংবর্ধনা। চ্যাম্পিয়নদের জন্য কাটা হয়েছে কেক। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের বিশ্বজয়ের মুহূর্ত স্মরণে রাখতে ফুটানো হয়েছে ১৯টি আতশবাজি। বুধবার প্রথমবার বিশ্বকাপ জিতে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল দেশে ফিরলে তাদের এ সংবর্ধনা দেয়া হয়।
এর আগে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল এশিয়ার সেরা হয়ে ফিরলে তাদের বিশেষ শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। ২০১৫ বিশ্বকাপে দারুণ ক্রিকেট খেলে প্রথমবার নকআউটে ওঠায় বাংলাদেশ জাতীয় দলকে অভ্যার্থনা জানানো হয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের ক্রিকেটে অঙ্গনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার ঘটনা এই প্রথম। আয়োজনেও তাই নতুনত্ব। গতকাল বুধবার বিকেল পাঁচটায় দেশে পৌছালে বিশেষভাবে অর্ডার দিয়ে বানানো ফুলের মালা পরিয়ে বরণ করা হয় ক্রিকেটারদের। স্টেডিয়াম শোভিত হয় ‘চ্যাম্পিয়ন’ সাজে। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের ক্রিকেটারদের বহনকারী বাসও সাজে চ্যাম্পিয়নের রঙয়ে। ক্রিকেট পাড়ায় উৎসবের আবহ। বিমানবন্দরে বিসিবি সভাপতি ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর উপস্থিতি। মালা পরিয়ে যুবা টাইগারদের বরণ করে নেয়া। চ্যাম্পিয়নদের জন্য ‘চ্যাম্পিয়ন সাজে’ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়াম। লাল গালিচা সংবর্ধনা থেকে কেক কাটা। বাংলাদেশের ক্রীড়া অঙ্গনে সবকিছুই নতুন। যুবাদের হাত ধরে আসা বিশ্বকাপ বাংলাদেশের ক্রিকেট অঙ্গনে ছড়িয়ে দিয়েছে উচ্ছ্বাস।