মাথাভাঙ্গা মনিটর: গতকাল শনিবার থাইল্যান্ডের একটি বিপনী বিতানে ঢুকে এক থাই সেনা নির্বিচার গুলি চালিয়ে অন্তত ২৬ জনকে হত্যা করেছে। আহত হয়েছে আরও ৫৭ জন। গুলিবর্ষণকারী ওই সেনা কর্মকর্তার নাম জাক্রাফ্যান থাম্মা তার বয়স ৩২ বলে জানিয়েছে পুলিশ। রাজধানী ব্যাংকক থেকে ২৫০ কিলোমিটার উত্তরপূর্বে নাখন রাচসিমা শহরের কাছে সেনাবাহিনীর একটি ঘাঁটিতে সে কর্মরত ছিল। জমি নিয়ে বিরোধের কারণেই ২৬ জনকে হত্যা করেছে থাইল্যান্ডের ওই ঘাতক সেনা। ওই সেনাকে পরে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। গতকাল রোববার নাখন রাচসিমার কয়েকটি হাসপাতালে ওই ঘটনায় আহতদের দেখতে গিয়েছিলেন থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী প্রায়ুথ চান ওচা। পরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বাড়ি নিয়ে চুক্তির জেরে সৃষ্ট ব্যক্তিগত দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে।’ ওই সেনা কর্মকর্তার কমান্ডিং অফিসারের এক আত্মীয়ের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব ছিলো বলে প্রায়ুথ জানিয়েছেন। নাখন রাচসিমা শহরের একটি বিপনী বিতানে গিয়ে নির্বিচার গুলিবর্ষণ শুরু করার আগে সেনা কর্মকর্তা থাম্মা যাদের হত্যা করেছিলেন তাদের মধ্যে তার কমান্ডিং বসও ছিলেন বলে প্রকাশিত প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে। সেকেন্ড এরিয়া কমান্ডের কমান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল থানিয়া কিয়াতসারন জানিয়েছেন, নিজেকে অস্ত্রে সজ্জিত করতে থাম্মা শনিবারের কোনো এক সময় সেনা শিবিরের অস্ত্রাগারে হামলা চালিয়েছিলো। থাইল্যান্ডের গণমাধ্যম থাম্মাকে অব্যর্থ লক্ষ্যভেদী ও বন্দুকের বিষয়ে উৎসাহী ব্যক্তি বলে বর্ণনা করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রায়ই অস্ত্র নিয়ে তোলা ছবি পোস্ট করতো সে। হামলার আগেরদিন থাম্মা তার ফেইসবুক একাউন্টে লোভী মানুষদের নিন্দা করে পোস্ট দিয়েছিলো।