দু যুবককে ছেড়ে দেয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে নানমুখী গুঞ্জন

দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজার থেকে আটক দুই রোহিঙ্গা যুবতিকে উখিয়া থানায় হস্তান্তর

 

দামুড়হুদা ব্যুরো: দামুড়হুদার ডুগডুগি বাজার এলাকা থেকে আটক দুই রোহিঙ্গা যুবতিকে কক্সবাজারের উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। গত শনিবার রাত সাড়ে ১১ টার দিকে দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কামরুল ইসলাম, নারী কনস্টেবল শ্যামলী ও ইসমত জাহান এবং কনস্টেবল আ. হাকিমকে সাথে নিয়ে ওই দুই রোহিঙ্গা যুবতিকে উখিয়া থানায় পৌঁছে দেয়ার জন্য দামুড়হুদা থেকে মাইক্রোযোগে উখিয়ার উদ্দেশে রওনা হয়। গতকাল রোববার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে তাদেরকে উখিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে এ প্রতিবেদককে মোবাইলফোনে জানান দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই কামরুল ইসলাম।

উল্লেখ্য, বরিশালের জাকির এবং ঢাকা নারায়নগঞ্জ জেলার সিদ্ধিরগঞ্জের সাদিক নামের দুই ব্যক্তি গত শনিবার সকালে জুবাইরা ও আনোয়ারা নামের দুই রোহিঙ্গা যুবতিকে ভারতে পাচারের উদ্দেশ্যে দর্শনা জয়নগর চেকপোস্ট এলাকায় পৌঁছায়। ওখানে ধুড় পাচারকারী দালালের মাধ্যমে ওই দুই রোহিঙ্গা যুবতীতে ভারতে পাচারের চেষ্টা করে। কিন্তু লাইন-ঘাট ঠিক না হওয়ায় পাচারে ব্যর্থ হয় তারা।

জয়নগর চেকপোস্টে পুলিশ-বিজিবির হাতে ধরা পড়ার ভয়ে তারা দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে পাখিভ্যানযোগে ডুগডুগি বাজারে চলে আসে। ওখানে টাকা-পয়সার লেনদেন নিয়ে পাখিভ্যান চালকের সাথে ওই দুই যুবকের কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে দুই যুবকের মধ্যে জাকিরকে কিলঘুষিও মারে জনৈক পাখিভ্যান চালক। এ সময় স্থানীয় লোকজন এগিয়ে এলে ভ্যানচালক চলে যায়। স্থানীয় লোকজন ওই দুই যুবকের সাথে থাকা যুবতিদের নাম ঠিকানা জিজ্ঞাসা করলে তারা বাংলা বুঝতেও পারেনি, বলতেও পারেনি। ওই দুই যুবতী রোহিঙ্গাদের মতো কথা বলতে শুরু করলে ৪ জনকেই আটক করে পুলিশে খবর দেয় স্থানীয় লোকজন। দামুড়হুদা মডেল থানা পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থল থেকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়। পরে ওই দুই যুবককে ছেড়ে দেয় পুলিশ। আটক দুই রোহিঙ্গা যুবতীর মধ্যে জুবাইরা খাতুন (২০) কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার পিতার নাম আমির হোসেন মাঝি। অপর রোহিঙ্গা যুবতি আনোয়ারা খাতুন (১৮) বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা। তার পিতার নাম ইসমাইল হোসেন। এদিকে দুই রোহিঙ্গা যুবতির সাথে আটক হওয়া দুই যুবককে ছেড়ে দেয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এলাকায় নানামুখি গুঞ্জন শুরু হয়েছে। ওই দুই যুবককে ছেড়ে দেয়ার পেছনে অন্য কোনো কারণ থাকতে থাকতে পারে বলেও অনেকেই মন্তব্য করেছেন।