ন্যায় বিচার পেতে মানবাধিকার সংগঠনের সুদৃষ্টি কামনা
দামুড়হুদা ব্যুরো : দামুড়হুদায় বিয়ের দাবী নিয়ে বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে প্রেমিকের বাড়িতে অবস্থান নিয়েছেন কলেজছাত্রী জলি খাতুন (২২)। প্রেমিক পুড়াপাড়ার নজরুল ইসলামের ছেলে রনির (২৮) বাড়িতে দু-দিন অবস্থান করলেও দেখা মেলেনি প্রেমিক রনির। প্রেমিকের দেখা না পেলেও বিয়ের দাবীতে অনড় অবস্থানে রয়েছে কলেজছাত্রী জলি। তিনি ন্যায় বিচার পেয়ে মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা কবরস্থানপাড়ার শহিদুল ইসলামের মেয়ে জলি খাতুন (২২)। ৩ বোনের মধ্যে জলি ছোট। প্রায় ৮ বছর আগে বিয়ে বাড়িতে এসে পরিচয় হয় দামুড়হুদা পুড়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রনির সাথে। পরিচয় থেকে প্রেম। এরপর মন দেয়া-নেয়া। প্রেমিকা জলি তার প্রেমের বর্ণনা দিতে গিয়ে বলেছেন, রনি বিয়ের আশ্বাস দিয়ে সব কিছু ভোগ করেছে। সব হারিয়ে আমি এখন নি:স্ব। তাকে বিয়ের কথা বললেই ও বরতো আমি পড়াশুনা শেষ করি। তুমিও পড়ালেখা শেষ করো। দু জনেই স্টাবলিস্ট হয়ে বিয়ে করবো। কারো কিছু বলার থাকবেনা। আমাদের সম্পর্কের কথা বাড়িতে জেনে গেছে। রনি আমাকে বাড়িতে চলে আসতে বলে। আমি তার কথামতোই বাড়ি ছেড়ে এসেছি। এ দিকে প্রেমিকা জলি বাড়িতে অবস্থানের পরপরই গা ঢাকা দেয় প্রেমিক রনি। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে প্রেমিকে বাড়িতে অবস্থান করলেও এখনও পর্যন্ত দেখা মেলেনি প্রেমিক রনির। তবে তার পরিবারের লোকজন নানাভাবে বুঝিয়েও তাকে বাড়ি থেকে বের করতে পারেনি। বিষয়টি দামুড়হুদা থানা পুলিশকে জানানো হলেও হয়নি সূরহা। কলেজছাত্রী জলি ন্যায় বিচার পেয়ে মানবাধিকার সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন। এ দিকে প্রেমিকা জলিকে এক নজর দেখতে আসা এলাকার উঠতি বয়সী তরুণ-তরুণিরা মন্তব্য করতে গিয়ে বলেছে ৮ বছরের প্রেমের এ কী হাল। হায়-রে প্রেম। হায়-রে ভালবাসা। # #