গাংনী হাসপাতালের আরএমও পদ থেকে বিডি দাসের পদত্যাগ
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) পদ ছেড়ে দিলেন ডা. বিডি দাস। কয়েকদিন আগে তিনি লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করেন কর্তৃপক্ষ। বিষয়টি স্বাভাবিক বলে সংশ্লিষ্টরা উল্লেখ করলেও হাসপাতালের ভেতরে বাইরে নানা আলোচনা চলছে।
সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স তথা গাংনী হাসপাতালে দীর্ঘদিন ধরে আরএমও হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন মেডিকেল অফিসার ডা. এমকে রেজা। গেল কয়েক মাস আগে এমকে রেজার স্থলাভিষিক্ত হন মেডিকেল অফিসার ডা. বিডি দাস। চিকিৎসক সংকট নিয়ে হাসপাতালটিই ছিলো একপ্রকার অসুস্থ। নানা ঝুঁক্কি ঝামেলার মধ্য দিয়ে গেল বছর হাসপাতালে দায়িত্ব পালন করেছেন চিকিৎসক ও অন্যান্য পদের লোকজন। গত মাসে ১০ জন নতুন চিকিৎসক যোগদানের মধ্যদিয়ে হাসপাতালে যেন প্রাণ ফিরে আসে। জরুরি মেডিকেল অফিসার ও আউটডোরে সেবা নিয়ে নতুন আশার আলো দেখা শুরু করেন এলাকার রোগীরা। এর মধ্যেই হাসপাতালের আভ্যন্তরে নানা ঝামেলা শুরু হয়। অবশ্যই উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্টরা তা সফলতার সাথেই মোকাবেলা করার চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে ডা. বিডি দাস আরএমও পদ থেকে পদত্যাগ করেন। চলতি সপ্তাহে তিনি লিখিত আবেদন করে পদ থেকে সরে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেন।
এদিকে বিডি দাসের পদত্যাগের বিষয়টি হাসপাতালের ভেতরে ও আভ্যন্তরে নানা আলোচনার জন্ম দিয়েছে। সংশ্লিষ্টরা যদিও বলছেন বিষয়টি স্বাভাবিক। পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে না স্বাভাবিকভাবে তিনি পদত্যাগ করেছেন; তা নিয়ে আলোচনা চলছে বিভিন্ন মহলে। বিষয়টি স্পষ্ট নয় স্থানীয়দের কাছে। হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ বিষয় তাই অনেকেই আলোচনার মধ্যেই বিষয়টি সীমাবদ্ধ রাখছেন। সময় গড়ানোর সাথে সাথে বিষয়টি আরো স্পষ্ট হবে বলে আশা করছে স্থানীরা।
এ প্রসঙ্গে পদত্যাগী বিডি দাস নিজের শারীরিক সমস্যার কথা উল্লেখ করে বলেন, কিছুদিন আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হই। চিকিৎসকের পরামর্শে মানসিক চাপ নিচ্ছি না; তাই পদত্যাগ করেছি। বিষয়টি স্বাভাবিক।
জানতে চাইলে উপজেলা স্বাস্থ্য ও প.প কর্মকর্তা ডা. রিয়াজুল আলম বলেন, তিনি স্বাভাবিকভাবেই পদত্যাগ করেছেন। এটি হাসপাতালের আভ্যন্তরীণ বিষয়। এটি নিয়ে আলোচনা কিংবা সমালোচনার কিছু নেই।
গাংনী পৌরসভার হাট বাজার টেন্ডার সম্পন্ন
গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পৌরসভার আগামী বাংলা সনের হাট-বাজার ইজারা টেন্ডার সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে টেন্ডার দাখিলের শেষ দিনে স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে গাংনী তহহাট, বাঁশবাড়িয়া বাজার ও পৌর জবেহখানার টেন্ডার কার্যক্রম করা হয়।
টেন্ডার কমিটির প্রধান পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলামসহ কমিটির সদস্যবৃন্দ, পৌর কাউন্সিলরবৃন্দ, আগ্রহী ইজারাদারসহ বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের উপস্থিতিতে দুপুর দুইটায় টেন্ডার বাক্স খোলা হয়।
বাঁশবাড়িয়া বাজারের সর্বোচ্চ দরদাতা আবীর হামজা ৩ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা ওয়ালিদ আল জাবির ২ লাখ ৯১ হাজার টাকা। তবে ফিরোজ আহম্মেদ ৩ লাখ ৭৮ হাজার টাকা দর দিলেও সিডিতে টাকার পরিমাণ কম থাকায় দরপত্র বাতিল হয়।
গাংনী পৌর জবেহখানার সর্বোচ্চ দরদাতা হাফিজুল ইসলাম ৮২ হাজার ৫০০ টাকা। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা আক্তারুজ্জামান বাবু ৪০ হাজার টাকা।
গাংনী পৌরসভার সবচেয়ে বড় হাট হচ্ছে গাংনী তহহাট (সবজি বাজার) ও কাঁচা বাজার (ঝালের আড়ত) এবং মাছের আড়ত। এ হাটটির দরপত্র জমা হয় ৫টি। এর মধ্যে সর্বোচ্চ দরদাতা ওয়ালিদ আল জাবের ৭০ লাখ ১ হাজার। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হাফিজুল ইসলাম ৬৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা জিয়াউল হক ৬৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা এবং চতুর্থ সর্বোচ্চ দরদাতা মো. শরিফ ১৪ লাখ টাকা।
জাকির হোসেন এ বাজারের ৮০ লাখ ১ হাজার টাকা দর দিলেও সিডিতে টাকার পরিমাণ কম থাকায় দরপত্রটি বাতিল হয়।
এ প্রসঙ্গে পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে হাটের ইজারা কার্যক্রম সম্পন্ন করা হচ্ছে। তিনটি হাটের সর্বোচ্চ দর দাতাদের সিডি ও অন্যান্য কাগজপত্র যাচাই বাছাই করে চূড়ান্ত করা হবে। চূড়ান্ত তালিকার ইজারাদারদের সাথে চুক্তি সম্পন্ন করে আগামী পয়লা বোশেখ থেকে তারা হাটের ইজারা কার্যক্রম অর্থাৎ খাজনা আদায় শুরু করবেন।