দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আবৃত্তি খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার নিমতলার নিজ বাড়িতে শিশুর নিথর দেহ

স্টাফ রিপোর্টার: আলমডাঙ্গার নিমতলা গ্রামে দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী আবৃত্তি খাতুনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। গতরাত ৯টার দিকে তার নিথর দেহ উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাজিদ হাসান বলেন, হাসপাতালে নেয়ার অনেক আগেই শিশুর মৃত্যু হয়েছে।
আবৃত্তি খাতুনের মৃত্যু নিয়ে তার পিতা-মাতার কথাতেই রহস্য দানা বেধেছে। তাছাড়া শিশুর গলায় ফাঁসের দাগও রয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর প্রথমে আবৃত্তি খাতুনের পিতা আজিম উদ্দীন ও মা শ্যামলি খাতুন অভিন্ন ভাষায় বলেন মেয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। অতোটুকু শিশু গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করলো কেনো? প্রশ্ন তুলতেই শ্যামলি খাতুনের বক্তব্য বদলে যায়। তিনি বলেন, ‘মেয়ে মুন্সিগঞ্জ মহিলা আদর্শ মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়ে। সন্ধ্যায় ওর বান্ধবীরা এসেছিলো বাড়িতে। ওর বান্ধবীদের আমাদের বাড়িতেই থাকার কথা ছিলো। তাছাড়া বাড়িতে ঘর তৈরির কাজ চলছে। এ কারণে আমরা সকলেই রান্নাঘরে থাকি। বিদ্যুতের তারও সব এলোমেলো। রাত আনুমানিক ৯টার দিকে কলপাড়ে গিয়ে হাত মুখ ধুয়ে গামছা নিয়ে রান্নাঘরে যায়। পরে ঘরে গিয়ে দেখি মেয়ে পড়ে আছে। কান্নাকাটির শব্দে প্রতিবেশীরা ছুটে আসেন। তাদের সাথে করে মেয়েকে নিয়ে হাসপাতালে এসেছি।’ এ বক্তব্যের কিছুক্ষণ পরই শ্যামলি খাতুন আবারও বক্তব্য বদলে বলেন, ‘মেয়ের মাথায় সমস্যা ছিলো। কারেণ্টের তারে জড়িয়ে নাকি গলায় ফাঁস লেগে মারা গেছে তা তো বলতে পারবো না।’ পাশে থাকা উপস্থিত প্রতিবেশীরা বলেন, হঠাৎ কান্নাকাটির শব্দে ওদের বাড়ি ছুটে গিয়ে দেখি আনুমানিক ৯ বছর বয়সী আবৃত্তি খাতুনের নিথর দেহ পড়ে রয়েছে। উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়েছি। কীভাবে যে মারা গেলো তা তো বুঝতে পারছি না।
খবর পেয়ে গতরাতেই চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে উপস্থিত হন আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আশিকুর রহমান। তিনি বলেন, শিশুর মৃত্যুর আড়ালে রহস্য রয়েছে বলে মনে হচ্ছে। তবে ময়নাতদন্তে বিস্তারিত জানা যাবে।