স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা আলুকদিয়া চকপাড়ার ফাতেমা খাতুনের বয়স কতো? স্থানীয় অনেকেরই ভাষ্য টেনেটুনে ১৩। ওতোটুকু বয়সেই বিয়ের আয়োজন? প্রশ্নতুলতেই অনেকের চোখ চড়কগাছি। অভিযোগ পেয়ে পুলিশও হাজির। তাতে কী? এমন এক জন্মসনদ পুলিশের সামনে মেলে ধরা হলো তাতে বয়স ১৯।
বয়স যাই হোক, জন্মসনদ অনুযায়ী বিয়ের বয়স হলে পুলিশের আর কী করা? ওই জন্মসনদ দেখেই চুয়াডাঙ্গা সদর থানার এসআই আকরামকে গতকাল ফিরতে হয়। অবশ্য তিনি সন্দেহ প্রকাশ করে জন্মসনদটি যাচাইয়ের কথা বলেন। এরই প্রেক্ষিতে জন্মসনদ যাচাই করতে গেলে পাওয়া যায় জাল সনদের গন্ধ। আলুকদিয়ার হায়দার আলীর মেয়ে ফাতেমা খাতুনের একটি জন্মসনদে দেখা যায় তার জন্মতারিক ২০০১ সালের ৪ জানুয়ারি। সে হিসেবে এখনও ১৩ বছর পূর্ণ হয়নি। আর পুলিশকে যে জন্মসনদ দেখিয়ে বিদায় করা হয়, সেই জন্মসনদটির নাম্বারের সাথে ইউনিয়ন পরিষদের দস্তাবেজের অমিল ফুটে উঠে। যে জন্মসনদে ফাতেমার বয়স ১৯ বলে দাবি তোলা হয়েছে, সেই জন্মসনদের নাম্বারটির সনদ আকুন্দবাড়িয়ার মুক্তি খাতুনের।
জন্মসনদ জাল নাকি ইউনিয়ন পরিষদ থেকেই এরকম জন্মসনদ সরবরাহ? এ প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গেলে আলুকদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ইসলাম উদ্দীন বলেন, ওই স্বাক্ষরটি মনে হচ্ছে জাল করা হয়েছে। বর্তমান চেয়ারম্যান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ইউনিয়ন পরিষদ সচিবকে বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বলা হয়েছে।