স্টাফ রিপোর্টার: বিপুল পরিমাণ মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ, অপারেশন থিয়েটারের ব্যবহার অনুপযোগী যন্ত্রপাতি ও প্রচুর পরিমাণ পথ্য ধ্বংস করা হয়েছে। সিভিল সার্জনের নেতৃত্বে গঠিত কমিটির সদস্যদের উপস্থিতিতে গতকাল বুধবার দুপুরে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ ও পথ্যসহ ব্যবহার অনুপযোগী যন্ত্রপাতি ধ্বংস করা হয়।
প্রচুর পরিমাণ ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ হলো কীভাবে? এ প্রশ্ন স্বয়ং কমিটির সদস্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মনিবুর রহমানও উত্থাপন করেন। তিনি জানতে চান, হাসপাতালে রোগী কম নাকি, যেসব ওষুধ সরকার সরবরাহ করেছে তা প্রয়োগের মতো রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেননি? অতো ওষুধ মেয়াদোত্তীর্ণ তো অবিশ্বাস্য! এর জবাবে কমিটির সদস্য সচিব উপস্থিত সাংবাদিকসহ অন্যদের সামনেই বলেন, ওষুধগুলোর মেয়াদ শেষের অল্প কিছুদিন আগে সরবরাহ করা। এ কারণেই রোগ নিরাময়ে ব্যবহারের আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা স্বাস্থ্য বিভাগের সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন ওষুধাগারে থাকা মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিধিমোতাবেক ধ্বংস করার জন্য ৫ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন ডা. খন্দকার মিজানুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত কমিটির সদস্যরা ওষুধাগারগুলোর ওষুধের মেয়াদ দেখে মেয়াদোত্তীর্ণগুলো ধ্বংসের সিদ্ধান্ত নেন। এরই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বেলা ১২টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল প্রাঙ্গণেই বৈদ্যুতিক তারের নিচে আগুন ধরিয়ে ধ্বংস করা হয়। মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের মধ্যে ১১২ অ্যাম্পুল কটসন ইনজেকশনসহ বহু জীবনরক্ষাকারী ওষুধ ছিলো। তা দেখেই মূলত প্রশ্ন উঠে, হাসপাতালে রোগীদের অধিকাংশ ওষুধ বাইরে থেকে কেনার জন্য স্লিপ ধরিয়ে দেয়া হয়, অথচ সরকারি ওষুধাগারের ওষুধ পড়ে থেকে মেয়াদোত্তীর্ণ হলো কেন?
মেয়াদ শেষের কয়েক মাস আগে সরবরাহকৃত ওষুধ কে সরবরাহ করে? খতিয়ে দেখা দরকার।