চুয়াডাঙ্গায় প্রশাসনের তড়িৎ পদক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শর্মী

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পেল সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী শর্মী খাতুন (১৩)। সদর উপজেলা প্রশাসনের তড়িৎ পদক্ষেপে বাল্যবিয়ে থেকে রক্ষা পায় ডিঙ্গেদাহ বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ওই ছাত্রী। বিয়ের আয়োজন করায় কনের মা সোনাভানু খাতুনকে জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ওই অর্থ দ-াদেশ দেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতসূত্রে জানা যায়, গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র গ্রামের এশিয়াপাড়ায় মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন করেন মিজানুর রহমান মিজারের স্ত্রী সোনাভানু খাতুন। চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপপরিচালক আব্দুল আওয়ালকে বিষয়টি অবহিত করেন স্থানীয়রা। তিনি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমানকে বিষয়টি জানালে তড়িৎ পদক্ষেপ নেন তিনি। চুয়াডাঙ্গা মহিলা বিষয়ক অধিদফতরের উপ-পরিচালক আব্দুল আওয়াল ও ডিঙ্গেদহ আনসার ব্যাটালিয়নের সদস্যদের নিয়ে ঘটনাস্থলে হাজির হন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। সেখানে ভ্রাম্যমাণ আদালতে বাল্যবিয়ের আয়োজন করায় কনের মা সোনাভানু খাতুনকে বাল্যবিয়ে নিরোধ আইন ২০১৭ এর ৮ ধারায় ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান। এ সময় জরিমানার টাকা আদায় পূর্বক তাকে সতর্ক করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কাজে সহযোগিতা করেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার পেশকার সোবহান আলী।