মেহেরপুর অফিস: মেহেরপুরের আমঝুপি গ্রামে আজিমুর রহমান পচা (৫৮) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে খুনের অভিযোগ উঠেছে তারই জামাই ফয়েজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় বিয়াই আনিছুর রহমান ও জামাই ফয়েজকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে সদর থানায় জামাই ফয়েজকে প্রধান আসামি করে ৫ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতে নিজবাড়ির বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকাবস্থায় আজিমুর রহমানকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুত্বর আহত করে অজ্ঞাতরা। পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার সকালে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করেন চিকিৎসকরা। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মঙ্গলবার রাতে মৃত্যুরকোলে ঢলে পড়েন আজিমুর রহমান। এর আগে নিহতের জামাই আমঝুপি গ্রামের ফয়েজ উদ্দীনের সাথে বিরোধ চলছিলো আজিমুর রহমান ও তার পরিবারের। বিরোধের জের ধরে দুইদিন আগে মেয়েকে নিজবাড়িতে নিয়ে আসে আজিমুরের পরিবার। এ বিরোধের জের ধরে জামাই ও তার লোকজন কুপিয়ে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ পরিবারের।
সদর থানা পুলিশের ওসি শাহ দারা খান জানান, সদর থানার আমঝুপি উত্তরপাড়া এলাকার হাবিবুর রহনের মেয়ের সাথে একই গ্রামের আনিছুর রহমানের ছেলের বিয়ে হয়। বিয়ের পর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে মনমালিন্য থাকায় বিষয়টি দুই পরিবারের মধ্যে কলহের সৃষ্টি হয়েছে। দীর্ঘদিন যাবৎ তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চলে আসায় সোমবার দিবাগত রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে হাবিবুর রহমানকে ঘরে শুয়ে থাকাবস্থায় দুর্বত্তরা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে পালিয়ে যায়। মারাত্মক জখম অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে, পরে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এ ঘটনায় বিয়াই আনিছুর রহমান ও জামাই ফয়জদ্দীন আহমেদ ওরফে সোহেলকে আটক করা হয়েছে।