মেহেরপুর প্রতিনিধি: গ্রামবাংলার মানুষের চিরায়ত ঐতিহ্য হিসেবে বছরের বিভিন্ন ঋতুতে বিশেষ বিশেষ পিঠা খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। কালের বিবর্তণে এসকল ঐতিহ্য এখন ম্লান হয়ে আসছে। তবে শীত এলে বাংলার ঘরে ঘরে এখনো পিঠা তৈরির উৎসব শুরু হয়। অগ্রহায়ণের নতুন চালের পিঠার স্বাদ সত্যিই বর্ণনাতীত। শীতের পিঠার স্বাদের কথা বলতে গিয়ে অনেকেই ছন্দে ছন্দে বলেন, ‘শীতের পিঠা ভারি মিঠা’। ‘পৌষ-পার্বণে পিঠা খেতে বসে খুশিতে বিষম খেয়ে, আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি খেয়ে।’ তাই মুখরোচক খাবার হিসেবে পিঠার স্বাদ গ্রহণ ও জনসমক্ষে একে আরও পরিচিত করে তুলতে মেহেরপুর সরকারি কলেজ এর উদ্যোগে দিনব্যাপী পিঠা উৎসব-২০২০ আয়োজন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত সরকারি কলেজ প্রাঙ্গণে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়। সকালে সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল ইসলাম সরদার ফিতা কেটে পিঠা উৎসবের উদ্বোধন করেন। পরে সেখানে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠিত হয়।
পরে সেখানে এক পিঠা উৎসব চলাকালে সেখানে পিঠা নিয়ে আড্ডার অংশগ্রহণ করেন জেলা প্রশাসক আতাউল গনি, পুলিশ সুপার এসএম মুরাদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসিবুল আলম, প্রফেসর আব্দুল মজিদ, ড. গাজী রহমান, পিঠা উৎসব কমিটির আহবায়ক সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আলামিন, প্রভাষক বশির উদ্দিন, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আবদুস সালাম বাঁধন, সহসভাপতি সাংগঠনিক সম্পাদক মাসুদ রানা, কলেজ শাখা সভাপতি আবিদ হোসেন আসিফ, সাধারন সম্পাদক কুতুবউদ্দিন সহ সকল ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন। সরকারি কলেজে অনুষ্ঠিত পিঠা উৎসবে ২৬ টি স্টলে শতাধিক ধরনের পিঠা স্থান পায়।