স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির বার্ষিক সাধারণসভা শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল রোববার বেলা সাড়ে ১০টায় সদর হাসপাতাল রোডে ডায়াবেটিক সমিতির কার্যালয় চত্বরে এ সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় ডায়াবেটিকের চিকিৎসা ফি ১০ টাকা থেকে বেড়ে ২০ টাকা এবং প্যাথলজি টেস্ট কিছুটা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
চুয়াডাঙ্গা ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সাধারণ সভা সঞ্চালনা করেন প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফিরোজ আল মামুন। সভায় ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহা, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম সাহান, কোষাধ্যক্ষ অ্যাড. আকসিজুল ইসলাম রতন, কার্যনির্বাহী সদস্য অ্যাড. রফিকুল ইসলাম ও আলী রেজা সজল উপস্থিত ছিলেন। এ সময় শহিদুল ইসলাম সাহান, ডা. মিজানুর রহমান, আজীবন সদস্য আলাউদ্দিন হেলা, এমএম আলাউদ্দিন ও আসাদুজ্জামন বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে পবিত্র কোরআন থেকে তেলওয়াত করেন বায়তুল আমান জামে মসজিদের মোয়াজ্জেম হাফেজ মো. মাসুম বিল্লাহ।
ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহা সমিতির দুজন আজীবন সদস্য রাশেদ উল ইসলাম জোয়ার্দ্দার ও লিয়াকত আলী শাহের মৃত্যুতে শোক প্রস্তাব পাঠ করেন এবং তাদের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত ও শান্তি কামনাসহ শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যবৃন্দের প্রতি ডায়াবেটিক সমিতির পক্ষ থেকে আন্তরিক সমবেদনা জ্ঞাপন করা হয়। এছাড়া তাদের স্মরণে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং দোয়া অনুষ্ঠিত হয়।
সাধারণ সভায় ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. মহ: শামসুজ্জোহা বিগত বার্ষিক সাধারণ সভার কার্যবিবরণী পাঠ করেন, ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদন পাঠ, ২০১৮ সালের ডায়াবেটিক সমিতির অডিট রিপোর্ট পাঠ ও ২০২০ সালের সম্ভাব্য আয়-ব্যয়ের বাজেট উপস্থাপন এবং অনুমোদন করা হয়।
ডায়াবেটিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. শামসুজ্জোহা সভায় ডায়াবেটিক সমিতির চিকিৎসা ফি ১০টাকার পরিবর্তে ২০ টাকা, প্যাথলজি পরীক্ষা এইচবিএওয়ানসি ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকা এবং লিফিট প্রোফাইল ফি ৫০০ টাকার পরিবর্তে ৬০০ টাকার প্রস্তাব পেশ করেন এবং সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তা অনুমোদন করা হয়।
সাধারণসভায় ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন বলেন, ডায়াবেটিক সমিতি কিভাবে আরও ভালোভাবে চলবে সে বিষয়ে আজীবন সদস্যদের দায়িত্বশীল হতে হবে। শুধু নির্বাহী কমিটি নয়, আপনারাও আসবেন সমিতির ভালো-মন্দ দেখে পরামর্শ দেবেন। প্রতিষ্ঠানে জবাবদিহিতা থাকা দরকার। সেজন্য সকলকে অনুরোধ করবো সমিতি কার্যালয়ে আসার জন্য। আমি নিজে প্রতিদিন সমিতির কার্যক্রম এসে দেখি এবং রোগীদের সাথে কথা বলি। নিজস্বভবনে কিভাবে ডায়াবেটিক সেন্টার প্রতিষ্ঠা করা যায় সে উদ্যোগ আমাদের রয়েছে।