স্টাফ রিপোর্টার: বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম জোসা ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না…রাজেউন)। গতকাল রোববার ভোর আনুমানিক সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর। গতকালই রাষ্ট্রীয় মর্যাদা শেষে দু’দফা নামাজে জানাজা শেষে বাদআছর তার নিজ গ্রাম জাফরপুরস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম জোসা বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ চুয়াডাঙ্গা ইউনিট কমান্ডার হিসেবে দক্ষতার সাথে দীর্ঘসময় দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়াও তিনি শঙ্করচন্দ্র ইউপির ৪নং ওয়ার্ড সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। চেয়ারম্যান পদে কয়েকদফা প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করেছেন তিনি। গতকাল বাদ জোহর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে গার্ড অব অনার শেষে প্রথম নামাজে জানাজা করা হয়। পরে দ্বিতীয় দফা নামাজে জানাজা শেষে জাফরপুরে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। গার্ড অব অনার প্রদানকালে এনডিসি সিব্বির আহমেদসহ অনেকেই উপস্থিত ছিলেন।
পারিবারিকসূত্র জানিয়েছে, কেএম জোসা হৃদরোগে আক্রান্ত ছিলেন। একবার তার হার্ট অপারেশনও করা হয়েছে। তবে তিনি বেশ সুস্থ জীবনযাপনই করে আসছিলেন। গতকাল ভোরে তিনি তার দক্ষিণ হাসপাতালপাড়াস্থ বাসভবনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। দ্রুত নেয়া হয় চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে। জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সদালাপী কেএম জোসার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে শোকের ছায়া নেমে আসে। তিনি জাফরপুরের শহীদ রইচউদ্দীন মোল্লার ছেলে। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। কেএম জোসার মৃত্যুতে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবার শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছে। সম্পাদক এক শোকবার্তায় এ কামনা করে বলেছেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কেএম জোসা ছিলেন দৈনিক মাথাভাঙ্গার প্রয়াত প্রধান সম্পাদক সাইফুল ইসলাম পিনুর ঘনিষ্ঠ বন্ধু। দৈনিক মাথাভাঙ্গার অন্যতম শুভানুধ্যায়ী।