আসমানখালী প্রতিনিধি: আলমডাঙ্গায় বাল্যবিয়ের শিকার নুরুন নাহার যৌতুকের বলি হয়েছেন। যৌতুকলোভী স্বামীর নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে বিয়ের এক বছরের মাথায় বিষপানে আত্মহত্যা করেছেন তিনি। গত শুক্রবার রাতে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নুরুন নাহার মারা যান। নিহত নুরুন নাহার আলমডাঙ্গা উপজেলার বড়গাংনী গুচ্ছগ্রামের দিনমজুর আকতার আলীর মেয়ে এবং একই উপজেলার বড় হাপানিয়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের স্ত্রী ছিলেন।
এলাকাসূত্রে জানা গেছে, বছর দেড়েক আগে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী থাকাকালে নুরুন নাহারের বিয়ে হয় একই উপজেলার বড় হাপানিয়া গ্রামের বাবুল আক্তারের ছেলে তাইজুল ইসলামের সঙ্গে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের দাবিতে নুরুন নাহারকে নির্যাতন করতো স্বামী ও শাশুড়ি। কয়েকদিন আগে ৩০ হাজার টাকা যৌতুক আনতে নুরুন নাহারকে পিতার বাড়ি পাঠায় স্বামী ও শাশুড়ি। কিন্তু টাকা না নিয়েই নুরুন নাহার বৃহস্পতিবার স্বামীর বাড়ি ফিরে যান। এ নিয়ে স্বামী তাইজুল শুক্রবার সন্ধ্যায় তাকে মারধর করেন। এ ঘটনার পরপরই নুরুন নাহার বিষপান করেন। রাতেই তাকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার রাত ১২টার দিকে নুরুন নাহার মারা যান। নুরুন নাহারের পিতা আক্তার আলী অভিযোগ করেন, ‘যৌতুক চেয়ে আমার মেয়ের ওপর প্রায়ই নির্যাতন করতো স্বামী ও শাশুড়ি। তাদের নির্যাতন সহ্য করতে না পেরেই সে আত্মহত্যা করেছে। আমি তাদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছি।’ এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি (তদন্ত) লুৎফুল কবীর মাথাভাঙ্গার বলেন, এ ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’