স্টাফ রিপোর্টার: লাহোরে প্রথম ম্যাচের হার নিয়ে আফসোস আছে। ফিল্ডিংটা ভালো করলে। রান কিছু বেশি হলে। আরেকটু ভালো বোলিং হলে জয়ের সুযোগ ছিলো এমন কথা বলা গেছে। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে মাহমুদুল্লাহদের অজুহাতের কোনো সুযোগই রাখলো না পাকিস্তান। বাবর আযম ও মোহাম্মদ হাফিজের ব্যাটে ২০ বল হাতে রেখে ৯ উইকেটের বড় জয় তুলে নিয়েছে তারা। এক ম্যাচ হাতে রেখেই ছিনিয়ে নিয়েছে সিরিজ। গাদ্দাফি স্টেডিয়ামের উইকেট শীতের কারণে নাকি স্লো। প্রথম ম্যাচে বড় রান তুলতে না পারায় এটাকে ঢাল বানিয়েছে বাংলাদেশ। ১৪১ রানের পুঁজিতে পাকিস্তানকে চাপে রেখে কিছু যুক্তিও খুঁজে পায় বাংলাদেশ। তামিম-নাঈমের ধীর ব্যাটিংকে আড়ালও করেন অধিনায়ক। দ্বিতীয় ম্যাচে ঘুরে দাঁড়ানোর আশায় নামা বাংলাদেশ শুরুতে ব্যাট করে থামে ১৩৬ রানে। কিন্তু সিরিজে ফেরার জন্য এই রান খুবই কম। দাপুটে ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান তা শুরুতেই বুঝিয়ে দেয়। দলের ৬ রানে তারা হারায় প্রথম উইকেট। এরপর অভিজ্ঞ মোহাম্মদ হাফিজ এবং পাকিস্তানের তরুণ টি-২০ অধিনায়ক বাবর আযম ১৩১ রানের জুটি গড়ে সহজে ম্যাচ বের করে নেন। দু’জনেই তুলে নেন ফিফটি। যে উইকেটে তামিম ব্যাট করতে ধুঁকেছেন। একের পর এক ডট দিয়েছেন। ৫৩ বলে সাত চার এবং এক ছক্কায় খেলেছেন ৬৫ রানের ইনিংস। সেই উইকেটে বাবর আযম ৪৪ বলে খেলেছেন ৬৬ রানের ইনিংস। তার ব্যাট থেকেও তামিমের সমান সাতটি চার ও একটি ছক্কা বেরিয়েছে। অন্য দিকে তিনে নামা হাফিজ ৪৯ বলে করেন ৬৭ রান। নয় চারের সঙ্গে তিনি ছক্কা মারেন একটি। ব্যাটিংয়ে অবশ্য শুধু তামিম নন ধুঁকেছেন অন্যরাও। লিটন দাস করেন ১৪ বলে ৮ রান। তিনে নামা মেহেদি ১২ বল খেলে ৯ রান করে আউন হন। মাহমুদুল্লাহ ১২ বলে করতে পারের ১২ রান। তবে সেট হয়ে তামিম যেভাবে রান তুলতে হাঁসফাঁস করেছেন অন্য ব্যাটসম্যানদের সহজে রান তোলা ছিলো কঠিন। হাসনাইন-শাহিন শাহদের বলে ব্যাটই চালাননি তিনি। হাতের নাগালে লক্ষ্য পেয়ে তাই জিততে খুব বেশি সময়ও নেয়নি পাকিস্তান।