সটাফ রিপোর্টার: সম্প্রতি মিজানুর রহমান আজহারী ও তারেক মনোয়ার যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর পক্ষ নিয়ে ওয়াজ মাহফিল করায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়েছে জাতীয় সংসদে। বিষয়টি উত্থাপন করেছেন সংসদ সদস্য ও সাংবাদিক নেতা মো.শফিকুর রহমান। তার বক্তব্যের শেষে সভাপতির চেয়ারে বসা ডেপুটি স্পিকার মো. ফজলে রাব্বী মিয়া বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে নিয়ে যে গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য আসছে এই বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে শফিকুর রহমান বিষয়টি উত্থাপন করেন।
তিনি বলেন, দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী রাজাকার ছিলেন। প্রকাশ্য আদালতে তার বিচার হয়েছে, বিচারে তার শাস্তি হয়েছে। এখন কিছু লোক একজনের নাম মিজান আরেক জনের নাম মনোয়ার। তারা বলছেন ঘরে ঘরে দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী বেরিয়ে আসবে। শুধু তাই না, একজন বলছে, এখন আর তীর ধনুকের যুগ না, এখন একে ফোরটি সেভেনের যুগ। এটি প্রচ্ছন্ন নয়, প্রকাশ্যে হুমকি। এতে মনে হয়, জামায়াত-শিবির-রাজাকার তৎপর হয়ে গেছে।
শফিকুর রহমান বলেন, জামায়াত-শিবিরের সমস্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হয়ে যায়, বিল্ডিং হয়ে যায়। আমাদের মুক্তিযুদ্ধাদের নামের প্রতিষ্ঠান হয় না। আমার বুন্ধ শহীদ জাবেদের নামে হাইস্কুল আছে, সেই স্কুলে বিল্ডিং হয়নি।
জিয়াউর রহমানের শহীদ বিতর্ক নিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, জিয়া কোথায় যুদ্ধ করেছে? একটা জায়গা দেখাক। শুধু ষড়যন্ত্র করেছে মোস্তাকের নেতৃত্বে। শেষের দিকে মুজিবনগর সরকারের কাছে ষড়যন্ত্র ধরা পরলে মোস্তাককে মন্ত্রিত্ব থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। আর জিয়াউর রহমানকে ইনঅ্যাকটিভ করে রেখেছিলেন, এটিই হচ্ছে বাংলাদেশের সত্যিকার ইতিহাস।