জীবননগর ব্যুরো/আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: ইটভাটায় টিনের চিমনী ও কাঠ পোড়ানোর অভিযোগে জীবননগরের দেহাটির সেই আলোচিত দুটি ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত ফের অভিযান চালিয়েছে। গতকাল বুধবার বেলা ১১ টার দিকে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহম্মদ ও নির্বার্হী ম্যাজিস্ট্রেট হাবিবুর রহমানের নির্দেশে ভেকু মেশিন দিয়ে অবৈধ এ দুটি ইটভাটার ক্লিন ভেঙে দেয়া হয়। গত পরশু মঙ্গলবার ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযানের মুখে মালিক ও কর্মচারীরা ভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। আদালত ভাটা এলাকায় কাউকে না পেয়ে টিনের চিমনী ভেঙে দিয়ে জীবননগর থেকে দমকল বাহিনী ডেকে ইটভাটার আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, জীবননগরের দেহাটিতে এ আর ব্রিকস ও শাহ ব্রিকসে টিনের চিমনী ও ইটভাটায় কাঠ পোড়ানোর অভিযোগ পেয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সিব্বির আহম্মদের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত গত ১৪ জানুয়ারি অভিযান চালায়। আদালত দুটি ইটভাটার অবৈধ টিনের চিমনী ভেঙে দিয়ে এ আর ব্রিকসকে ২০ হাজার টাকা ও শাহ ব্রিকসকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেন ও দমকল বাহিনী ডেকে ভাটার আগুন নিভিয়ে দিয়ে ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। আদালতের এ নির্দেশ উপেক্ষা করে পরদিন ফের ভাটার কার্যক্রম চালু করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশ অমান্য করায় গত মঙ্গলবার আবারো ওই দুটি ইটভাটায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড সিব্বির আহম্মেদের নেতৃত্বে আদালত অভিযান চালায়। আদালতের অভিযানের মুখে ইটভাটা মালিক, কর্মচারী ও শ্রমিকরা ইটভাটা ছেড়ে পালিয়ে যায়। ফলে ভাটায় কাউকে না পেয়ে আদালতের নির্দেশে টিনের চিমনী ভেঙে দিয়ে দমকল বাহিনী ডেকে ভাটার জলন্ত আগুন নিভিয়ে দেয়া হয়। গতকাল ভ্রাম্যমাণ আদালত ফের ওই দুটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়ে ভেকু মেশিন দিয়ে ভাটার ক্লিন ভেঙে গুড়িয়ে দিয়ে অবৈধ ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।