কুষ্টিয়া প্রতিনিধি: সোহাগ নামের এক প্রেমিকের সাথে দীর্ঘ ৫ বছরের প্রেম। পাঁচ বছরের এ প্রেমে ভেঙে দেড় মাস আগে বিয়ে হয় সাদ্দাম নামের এক ছেলের সাথে। বিয়ের মাত্র ৪৫ দিনের মাথায় ওই নারী এক মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করেছেন। এ ঘটনায় প্রেমিকের বিরুদ্ধে ধর্ষকের অভিযোগ করেছেন থানায়। চাঞ্চল্যকর এ ঘটনায় ধর্ষনেণর অভিযোগে পুলিশ ওই প্রেমিক ও গর্ভপাত ঘটানোর দায়ে স্বামীকে আটক করেছে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে ওই নারীর প্রেমিক ও স্বামীকে আটক করে মিরপুর থানা পুলিশ। এর আগে মঙ্গলবার সকালে মিরপুর থানায় ধর্ষণের অভিযোগ এনে এজাহার দায়ের করেন ওই নারী। আটককৃতরা হলেন ভিকটিমের প্রেমিক কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের স্বরুপদহ শিলের খাল এলাকায় খয়বার আলীর ছেলে সোহাগ (১৮) এবং ভিকটিমের প্রেমিক স্বামী একই উপজেলার ধুবাইল ইউনিয়নের কাদেরপুর গ্রামের মোফাজ্জেল হোসেনের ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২২)।
ওই নারীর দায়ের করা মামলার এজাহারসূত্রে জানা যায়, সোহাগের সাথে গত ৫ বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক ছিলো সোহাগের সাথে। গত বছরের ২ ফেব্রুয়ারি সোহাগ তাকে নির্মাণাধীন বাড়ির কক্ষে ডেকে নিয়ে ধর্ষণ করে। এছাড়াও বিভিন্ন সময় তাকে ডেকে নিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক হলেও গর্ভবর্তী হওয়ার বিষয়টি ভিকটিম অনুমান করতে পারেনি বলে এজাহারে উল্লেখ করেছেন।
তিনি এজাহারে আরও উল্লেখ করেছেন, এরই এক পর্যায়ে গত দেড় মাস আগে ভিকটিমের পিতা-মাতা সাদ্দাম হোসেনের সাথে তার বিয়ে দেয়। গত ১৯ জানুয়ারি রাতে স্বামী তাকে ৪টি ট্যাবলেট খাওয়ালে পেট ব্যথা হয়। পরদিন ২০ জানুয়ারি মিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে ৭-৮ মাসের মৃত কন্যা সন্তান প্রসব করে। পরে মৃত কন্যা সন্তানটিকে স্বামীর গ্রামের কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুুল কালাম জানান, অভিযুক্ত ধর্ষক সোহাগ এবং ওই নারীর গর্ভপাতের দায়ে তার স্বামী সাদ্দামকে আটক করা হয়েছে। পরে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে জেলহাজাতে পাঠানো হয়।